বাঁ দিক থেকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং বিজেপির কে সুরেন্দ্রন। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে ওয়েনাড় কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা হয়েছিল রবিবার। কেরলের বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দ্রন ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তাঁর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী তথা ওই কেন্দ্রের বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে সুরেন্দ্রন সোমবার বলেন, ‘‘২০১৯ সালে অমেঠীতে রাহুলের যে পরিণতি হয়েছিল, এ বার ওয়েনাড়েও তা হতে চলেছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাকে যে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তা পালন করব।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে রাহুল ওয়েনাড়ে জিতলেও উত্তরপ্রদেশের অমেঠী লোকসভা বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে ৫৫ হাজার ভোটে হেরে গিয়েছিলেন রাহুল। তার আগে ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিন বার লোকসভা ভোটে আমেঠী থেকে হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।
২০০৯ সালে আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে তৈরি ওয়েনাড়ে গত তিনটি লোকসভা ভোটেই কংগ্রেস জিতেছে। কেরলের ওই কেন্দ্র থেকে ২০১৯ সালে কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল জয়ী হয়েছিলেন চার লক্ষ ৩০ হাজার ভোটে। হারিয়েছিলেন সিপিআই প্রতিদ্বন্দ্বী পিপি সুনেরকে। রাহুলের ধাক্কায় কেরলের ২০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৯টিই জিতে নিয়েছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। মাত্র একটিতে জিতেছিলেন সিপিএমের নেতৃত্বাধীন জোট এলডিএফের প্রার্থী।
এ বার ওয়েনাড়ে সুরেন্দ্রন ছাড়াও রাহুলের লড়াই বামজোটের সিপিআই প্রার্থী অ্যানি রাজার বিরুদ্ধে। তিনি সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী। এ বার রাহুল অমেঠীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সুরেন্দ্রন পথনমথিট্টা কেন্দ্রে লড়ে তৃতীয় স্থান পেয়েছিলেন। তবে প্রায় ৩ লক্ষ ভোট পান তিনি। অন্য দিকে, ওই বছর ওয়েনাড়ে বিজেপি সমর্থিত ‘ভারত ধর্ম জনসেনা’র প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। পেয়েছিলেন সাকুল্যে ৭৮ হাজার ভোট।