(বাঁ দিকে) নওশাদ সিদ্দিকি এবং মহম্মদ সেলিম। — ফাইল চিত্র।
সিপিএম শ্রীরামপুর থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করলে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বিবেচনা করবে আইএসএফ। বৃহস্পতিবার এ কথা জানালেন আইএসএফের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
নওশাদ বলেন, ‘‘প্রয়োজনে আমরা মুর্শিদাবাদটা কনসিডারের (বিবেচনা) জায়গায় রাখছি। শ্রীরামপুরটা তুলে নেওয়া হোক। সবটাই যদি আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়, আমরা এমনি ছোট দল, আমরা দুর্বল, আর লোড (ভার) নিতে পারছি না তো।’’ মুর্শিদাবাদে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে হাবিব শেখকে প্রার্থী করছে আইএসএফ।
নওশাদ বৃহস্পতিবার জানান, তাঁরা প্রথমে প্রার্থী ঘোষণা করার পরে সিপিএম সাংবাদিক বৈঠক করে ওই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম জানিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। ওখানে সিপিএম আমাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে। মুর্শিদাবাদে আমরা প্রথমে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলাম। তার পরে বামফ্রন্ট বা সিপিএম সাংবাদিক সম্মেলন করে সেলিম সাহেবকে ওখানে দাঁড় করিয়েছে।’’
নওশাদের বৃহস্পতিবারের ‘প্রস্তাব’ সম্পর্কে সেলিম বলেন, ‘‘আইএসএফ অন্যের হাতে সাজানো তামাক খাচ্ছে। তাতে রাজনীতি বেশি দূর করা যায় না। আমরা এখনও অনেক আসনে প্রার্থী ঘোষণা করিনি। কারণ, কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে আলোচনা করেই বাকিটা করতে চেয়েছি। এটা না তুললে ওটা তুলব না বলা মানে বার্গেনিং পলিটিক্স (দর কষাকষির রাজনীতি), সেটা সঠিক নয়।’’
সমঝোতার প্রক্রিয়া চলাকালীনই রাজ্যের ৮ লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল আইএসএফ। তার মধ্যে সিপিএম বা কংগ্রেসের প্রার্থী আছে, এমন কয়েকটি আসনও ছিল। সেই তালিকায় অন্যতম হুগলি জেলার পাঁচ এবং হাওড়া জেলার দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত শ্রীরামপুর কেন্দ্র। সেখানে আইএসএফের আগেই সিপিএম প্রার্থী হিসাবে ছাত্র এবং যুব আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ দীপ্সিতা ধরের নাম ঘোষণা করেছিল। তিনি ইতিমধ্যেই পুরোদস্তুর প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন। এর পরে গত ২১ মার্চ আইএসএফ শ্রীরামপুরে প্রার্থী হিসাবে শাহরিয়ার মল্লিকের (বাপি) নাম ঘোষণা করে। এই পরিস্থিতিতে এ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে নওশাদের দলের সমঝোতা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যা আরও বাড়ল বৃহস্পতিবার। নওশাদ এবং সেলিমের মন্তব্যে।