মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন নিশীথ প্রামাণিক। — নিজস্ব চিত্র।
পাঁচ বছর আগে কোচবিহার লোকসভা আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। সেই সময়ে তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মোট পরিমাণ ছিল ৯৬,২৯,৮১০ টাকা। ২০২৪ সালে সেই কোচবিহার থেকে দিল্লিবাড়ির লড়াইয়ে নামার আগে তাঁর মোট ঘোষিত সম্পত্তি
১,০৫,১২,৬৯৯ টাকা। কোটির ঘরে পৌঁছে যাওয়া নিশিথের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সংখ্যাও বেড়েছে পাঁচ বছরে। ছিল ১১টি। হয়েছে ১৪টি। যার কোনওটিতেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হননি। তবে সব চেয়ে বড় বিষয়, পাঁচ বছর আগে নিশীথ তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতায় জানিয়েছিলেন, তিনি অষ্টম শ্রেণি পাশ। কিন্তু এ বারের হলফনামায় নিশীথ জানিয়েছেন, তিনি মাধ্যমিক উত্তীর্ণ। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্যদ থেকেই তিনি মাধ্যমিক পাশ করেছেন। তবে দু’বারই তাঁর পেশা হিসাবে নিশীথ জানিয়েছেন, তিনি একটি প্রাথমিক স্কুলের সহকারি শিক্ষক।
বিজেপি এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ১৯ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তাঁদের মধ্যে নিশীথই প্রথম মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মননোয়নের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় নিয়মমাফিক বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করেছেন নিশীথ। সেখানেই তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির উল্লেখ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনেও কোচবিহার দিনহাটা আসন থেকে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন নিশীথ। জিতেও বিধায়ক পদ নেননি তিনি। পরে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরে পরেই তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কোচবিহারের তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায়। সেই সময়ে লোকসভার ওয়েবসাইটে নিশীথের বিসিএ ডিগ্রির উল্লেখ রয়েছে বলে দাবি করা হয়। তার স্ক্রিনশট ফেসবুকে পোস্ট করেন পার্থপ্রতিম। সেখানে বালাকুড়া জুনিয়র বেসিক স্কুল থেকে ওই ডিগ্রি নিশীথ পেয়েছেন বলেও উল্লেখ করতে দেখা যায়। ওই বিতর্কে নিশীথ অবশ্য কোনও জবাব দেননি। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ বলে জানালেও গত বিধানসভা নির্বাচনের হলফনামাতেই তিনি মাধ্যমিক পাশ বলে জানান নিশীথ।
বৃহস্পতিবার কমিশনকে জমা দেওয়া নিজের এবং স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা প্রামাণিকের সম্পত্তির হিসাব দিয়েছেন নিশীথ। দু’জনের মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৬০,১২,৬৯৯ টাকার। এর মধ্যে দু’জনের গয়নার পরিমাণ ৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকার। দু’জনের মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪৫ লাখ টাকার।