নিশীথ প্রামাণিক। —ফাইল চিত্র।
অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে আসন্ন লোকসভা ভোটে না হারানো পর্যন্ত নিরামিষ খাবার ব্রত নিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি জানান, নিশীথকে হারানোর পরেই তিনি মৎস্যমুখ করবেন! এ নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, তৃণমূল নেতার বয়স হয়েছে। এই বয়সে এমনিতেই তাঁর নিরামিষ খাওয়া উচিত!
কোচবিহারের রাজনীতিতে রবীন্দ্রনাথ-নিশীথ বিরোধ দীর্ঘ দিনের। নিশীথ এক সময় জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তখন থেকেই ‘রবীন্দ্রনাথ-বিরোধী’ বলে পরিচিত তিনি। পরে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। বিজেপিতে গিয়ে সাংসদ হন নিশীথ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছেন। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় ভোট প্রচারে রবীন্দ্রনাথ-নিশীথ বাগ্যুদ্ধে চরমে পৌঁছেছিল। আসন্ন লোকসভা ভোটের আবহেও সেই নিশীথকে নিশানা করলেন প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ জানান, এই মুহূর্তে তাঁর একমাত্র লক্ষ্য নিশীথকে ভোটে হারানো। সেই লক্ষ্যে তিনি এতটাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে, ব্রত পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ। তিনি জানান, আসন্ন ভোটে নিশীথকে হারিয়ে তিন দিন পর মৎস্যমুখ করবেন তিনি। ইতিমধ্যে নিরামিষ খাওয়া শুরুও করে দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের কথায়, ‘‘গত পাঁচ বছরে কোচবিহারের মানুষের উপর অনেক অত্যাচার করেছে নিশীথ প্রামানিক। কোনও প্রতিশ্রুতি রাখেনি। ওকে হারানোই প্রধান লক্ষ্য।’’
রবীন্দ্রনাথকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি।। দলের জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বয়স হয়েছে। শরীর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে তার নিরামিষ খাওয়াই প্রয়োজন। উনি নিরামিষ খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাল করেছেন। কিন্তু নিশীথ প্রামাণিককে পরাজিত করার স্বপ্ন তাকে ভুলে যেতে হবে। গত লোকসভা নির্বাচনে পঞ্চাশ হাজারের বেশি ভোটে নিশীথ প্রামাণিক জয়লাভ করেছিলেন। এ বার লক্ষাধিক ভোটে জয়লাভ করবেন নিশীথ প্রামাণিক।’’