Lok Sabha Election 2024

পুলিশকে ঘেরাও, তৃণমূল কর্মীকে মারধর, বিক্ষিপ্ত অশান্তি, ভোটের সকালে কী পরিস্থিতি সন্দেশখালিতে?

শনিবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালির দক্ষিণ খুলনা অঞ্চল। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বয়রামারিতে মার খেয়েছেন বিজেপি কর্মী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সন্দেশখালি শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৪ ১১:৫০
Share:

(বাঁ দিকে) সন্দেশখালিতে উত্তেজনা। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার রাজনীতির অন্যতম ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে সন্দেশখালি। ইডির উপর হামলা, তৃণমূল নেতা গ্রেফতার থেকে শুরু করে দফায় দফায় বিক্ষোভ, অশান্তি— প্রথম থেকেই শিরোনামে থেকেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার এই জনপদ। ভোটের দিন সকালে সেখানে কেমন পরিস্থিতি? স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, সকাল থেকে এখনও পর্যন্ত সন্দেশখালি মোটের উপর শান্ত। দু’একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ওই এলাকা থেকে তেমন কোনও অশান্তির খবর আসেনি।

Advertisement

শনিবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালির দক্ষিণ খুলনা অঞ্চল। সেখানে ১৭৭ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য মণিকা মণ্ডলের স্বামী তথা এলাকার তৃণমূলকর্মী রামকৃষ্ণ মণ্ডলকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। আক্রান্ত জানিয়েছেন, তিনি ভোট দিতে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরেন বিজেপি কর্মীরা। তার পর মারধর করা হয়। তাতে তাঁর মাথা ফেটে যায়।

বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, ‘‘রামকৃষ্ণ মণ্ডল দলবল নিয়ে বুথ দখল করতে গিয়েছিলেন। তাই গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঁর উপরে চড়াও হন। হাতাহাতিতে তিনি জখম হন। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।’’

Advertisement

অশান্ত হয়েছে সন্দেশখালির বয়রামারি এলাকাও। সেখানে এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁরও মাথা ফেটে গিয়েছে। এলাকায় ন্যাজাট থানার ওসি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। অভিযোগ, বয়রামারির একটি বুথে ছাপ্পা ভোট চলছিল। বিজেপি কর্মী প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করা হয়।

এ ছাড়া শুক্রবার রাতে সন্দেশখালির বেড়মজুর এলাকায় পুলিশ ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। স্থানীয়েরা জানান, এলাকার পুরুষদের ধরতে এসেছিল পুলিশ। কয়েক জনকে আটকও করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়, ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় কিছু না কিছু অভিযোগ রয়েছে। তাই ভোটের আগে তাঁদের আটক করা হচ্ছে। কিন্তু গ্রামবাসীরা এতে ক্ষুব্ধ হন এবং পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে পুলিশ আটক ব্যক্তিদের ছেড়ে দেয়।

সকাল সকাল সন্দেশখালির পাত্রপাড়ার ১৭১ নম্বর বুথে ভোট দেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। একই সঙ্গে ১৭০ নম্বর বুথে ভোট দিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী নিরাপদ সর্দার। বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের উপর সন্দেশখালির ভোট শান্তিপূর্ণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement