সাজদা আহমেদ। —ফাইল চিত্র।
উলুবে়ড়িয়ায় নির্বাচনের প্রচারের রণকৌশল ঠিক করতে আজ, শনিবার বৈঠকে বসছে হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাতে থাকার কথা এই কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ সাজদা আহমেদের। তার আগে শুক্রবার এই লোকসভা কেন্দ্রের কয়েকটি জায়গায় ‘সাজদা আহমেদ নিখোঁজ’ লেখা পোস্টার দেখা গেল। তাঁর সন্ধান দিলে আর্থিক পুরস্কার মিলবে বলেও কিছু পোস্টারে লেখা হয়েছে। এই পোস্টার কে বা কারা সাঁটিয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে, রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল সভাপতি অরুণাভ সেনের দাবি, ‘‘এই অপকর্ম বিজেপিই করেছে। উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে তারা এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি। উল্টে চুঁচড়ায় দলীয় প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে তারা জেরবার। সেই হতাশা থেকে বিজেপি এখানে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। সাজদা নিখোঁজ নন। তাঁর সঙ্গে উলুবেড়িয়ার নিবিড় সংযোগ আছে। নির্বাচনে বিজেপি তা ভাল মতো টের পাবে।’’ সাজদারও দাবি, ‘‘এটা বিজেপির ষড়যন্ত্র। যেখানে এইসব পোস্টার পড়েছে, সেখানে বিজেপিকে বিপুল ভোটে হারাব।’’
পক্ষান্তরে, পোস্টার সাঁটার কথা বিজেপি মানেনি। দলের গ্রামীণ জেলা সভাপতি অরুণউদয় পাল চৌধুরী পাল্টা বলেন, ‘‘সাজদার সঙ্গে যে এই এলাকার মানুষের কোনও যোগাযোগ নেই, সেটা সবাই জানেন। আমাদের সন্দেহ, তৃণমূল কর্মীদেরই কেউ কেউ প্রাথীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে এই সব পোস্টার মেরেছেন। আমাদের দলের সঙ্গে এই পোস্টারের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
গত রবিবার সাজদার নাম এই কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয় ব্রিগেডে তৃণমূলের ‘জনগর্জন’ সভা থেকে। তিনি তারপর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত উলুবেড়িয়ায় আসেননি। তবে, বিক্ষিপ্ত ভাবে তাঁর নামে দেওয়াল-লিখনের কাজ অবশ্য চলছে। কিন্তু সাজদার টানা অনুপস্থিতি এবং ওই পোস্টারকে ঘিরে দলের কর্মীদের একাংশের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে মানছেন, নেতাদের কেউ কেউ।
তৃণমূল সূত্রের খবর, আজকের দলীয় নির্বাচনী বৈঠকে গ্রামীণ জেলা থেকে নির্বাচিত মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ দলের জেলা স্তরের শীর্ষ নেতারা থাকবেন। গ্রামীণ জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, ‘‘বৈঠকের পরেই প্রচারের দামামা বাজিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের উদ্দেশ্য ২০১৯-এর থেকেও বেশি ব্যবধানে প্রার্থীকে জেতানো।’’