Lok Sabha Election 2024

অভিষেক বলতেই লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়াল লিখনে  

হস্পতিবার নানুর বিধানসভা কেন্দ্রের কঙ্কালীতলা, আমডহরা-সহ বিভিন্ন জায়গায় ওই দেওয়াল লিখন চোখে পড়েছে।

Advertisement

অর্ঘ্য ঘোষ

নানুর শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৩৬
Share:

আমডহরা গ্রামে তৃণমূলের দেওয়ালে লিখনে লক্ষ্মীর ভান্ডার। নিজস্ব চিত্র।

নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল নেতারা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরছিলেন। দেওয়াল লিখনেও ওই সব প্রকল্পের খতিয়ান লেখা হচ্ছিল। আলাদা করে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পকে গুরুত্ব দিয়ে দেওয়াল লিখন করা হচ্ছিল না বলে দলীয় সূত্রের খবর। বুধবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে নিবিড় প্রচারের নির্দেশ দিতেই বদলে গেল ছবিটা। প্রচারের পাশাপাশি দেওয়াল লিখনেও উঠে এল লক্ষ্মীর ভান্ডারের ছবি সহ স্লোগান।

Advertisement

বৃহস্পতিবার নানুর বিধানসভা কেন্দ্রের কঙ্কালীতলা, আমডহরা-সহ বিভিন্ন জায়গায় ওই দেওয়াল লিখন চোখে পড়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার তারাপীঠের কর্মী বৈঠকে লক্ষ্মীর ভান্ডারকে প্রচারের সামনের সারিতে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন অভিষেক। তার পরেই ওই প্রকল্পকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। দলেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় প্রায় ৮ লক্ষ ৩৮ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে মাসিক ১০০০ এবং ১২০০ টাকা রাজ্য সরকারের অনুদান পান। কিন্তু, অনেকেরই প্রকল্পটির সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেই। সেই জন্যেই অভিষেক প্রচারে লক্ষ্মীর ভান্ডারকে তুলে ধরতে বলেছেন বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি।

ওই নেতার কথায়, ‘‘এই প্রকল্পের জন্য দলমত নির্বিশেষে মহিলারা উপভোক্তা। তাঁদের একটা বড় অংশের সমর্থন আমাদের পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ময়ূরেশ্বরের থানা এলাকার দুই মহিলা বলছেন, ‘‘স্বামী কিংবা পরিবারের কর্তারা কখনও এক সঙ্গে আমাদের হাতে এক হাজার টাকা হাতখরচ তুলে দিতে পারেন না। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাওয়ার পর থেকে আমাদের সেই আক্ষেপ ঘুচেছে। টাকাটা জমিয়ে রেখে পুজোর বাজারও হয়ে যায়।’’

Advertisement

বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল অবশ্য দাবি করছেন, ‘‘লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নির্বাচনে কোনও বিষয় হবে না। তৃণমূল নেতারা আকণ্ঠ দুর্নীতিতে জড়িত। ভোটারেরা ভাল করেই জানেন, ওই সব প্রকল্প শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা মাত্র।’’ যা জেনে নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি বলেন, ‘‘বিরোধীরা যতই অপপ্রচার করুক না কেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে বহু মহিলা উপকৃত হয়েছেন। তাঁরা আমাদের সঙ্গে আছেন।’’ তিনি জানান, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশের পরেই প্রচারের পাশাপাশি দেওয়াল লিখনেও প্রকল্পটির কথা তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement