সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
“যত লড়াই করেই হোক, জলপাইগুড়ি জিততে হবে,” হেলিকপ্টারে ওঠার আগে ময়নাগুড়ির জনসভার মাঠে ‘রুদ্ধদ্বার’ বৈঠকে এমনিই জানিয়ে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ময়নাগুড়ির সভা শেষ করে মঞ্চ থেকে নেমে জেলা তৃণমূলের বাছাই করা নেতাদের নিয়ে মঞ্চের নীচে তৈরি বিশেষ ঘেরাটোপে ঢুকে যান অভিষেক। তৃণমূল সূত্রের দাবি, সেখানেই ‘জলপাইগুড়ি জিততেই হবে’ বলে বার্তা দিয়েছেন তিনি। অভিষেক জানান, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার— তিন লোকসভাতেই ভোট প্রচারের জন্য নির্বাচনী কমিটি তৈরি হচ্ছে। জলপাইগুড়ির কমিটিতে ২১ জন করে সদস্য থাকার কথা। কমিটিতে কোনও দ্বন্দ্বের ছায়া যাতে না থাকে তা নিশ্চিত করতেও দলের শীর্ষ স্তর থেকে বার্তা এসেছে। জেলা তৃণমূলের দাবি, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন সবাইকে এক সঙ্গে নিয়ে ভোট প্রচার করতে।”
অভিষেক যেখানে বৃহস্পতিবার সভা করেন, সেখানেই জেলা তৃণমূলের ‘দ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে এসেছে। অভিষেকের সভা শেষ হওয়ার পরে, দলের এক নেতা বলেন, “ময়নাগুড়ির একটি ব্লকের অবস্থা ভাল নয়, দ্বন্দ্ব চলছে।” দলের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলা কয়েক জন নেতাকে এ দিন মঞ্চের আশপাশে দেখাও যায়নি। সে কারণেই অভিষেকের বার্তাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন জেলা তৃণমূল নেতারা। সভা শেষ করার পরে মঞ্চ থেকে নেমে বিশেষ ঘেরাটোপে দশ মিনিটেরও বেশি বৈঠক করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সকলের প্রবেশাধিকার ছিল না। জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে। দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি জানিয়েছেন, যে করেই হোক জলপাইগুড়ি আসন লড়াই করে আমাদের জিততে হবে।”
অভিষেকের আলোচনায় ছিলেন এমন এক নেতার কথায়, “নির্বাচন কমিটিতে সকলকে রাখার কথা বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলে মিলে এক সঙ্গে না লড়লে ভাল ফল হবে না।” গত লোকসভায় জলপাইগুড়িতে বিজেপি প্রায় এক লক্ষ ৮৬ হাজার ভোটে জিতেছিল। বিধানসভা ভোটের নিরিখেও জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। যদিও উপনির্বাচনে ধূপগুড়ি বিধানসভা ছিনিয়ে আনার পরে, সে ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে এনেছে তৃণমূল।