অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
মহিলা পঞ্চায়েত সদস্য ও কর্মীদের নিয়ে পঞ্চায়েত স্তরে লোকসভা ভোটের প্রচার করার নির্দেশ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে রাজ্যে তৃণমূলের সর্ব স্তরের পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানেই পঞ্চায়েত স্তরে প্রচারের উপর জোর দিয়েছেন তিনি।
গত বছর পঞ্চায়েত ভোটে সিংহভাগ আসনে জয় পেয়েছে তৃণমূল। সেই সাফল্য লোকসভা ভোটেও ধরে রাখতে চাইছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই ভার্চুয়াল বৈঠকে পঞ্চায়েত স্তরে মহিলা সদস্য ও মহিলা কর্মীদের নিয়ে বিশেষ ধরনের দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই দল জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রীর সঙ্গে সমন্বয় করে এলাকাভিত্তিক প্রচার চালাবে। বৈঠকে যোগদানকারী তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের কথায়, ‘‘অভিষেক আমাদের বুথের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে রাজ্য সরকারের কাজের কথা বলে ভোট চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা তাঁর পরামর্শ মতোই গিয়ে ভোট চাইব। এ ক্ষেত্রে যে মহিলা দল গঠনের কথা বলা হয়েছে, তা-ও আমরা শীঘ্রই সম্পন্ন করে ফেলব।’’
এ ছাড়াও পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানদের ভাল ফলাফল না করলে পদে বহাল না রাখার বার্তাও দিয়েছেন অভিষেক। প্রচারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীদের প্রসঙ্গে যেমন বলতে হবে, তেমনই ১০০ দিনের কাজের এবং আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবে আটকে রেখেছে, তা-ও তুলে ধরতে বলা হয়েছে।
আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার আবাসের টাকা না দিলে রাজ্য সরকার সেই অর্থ দিয়ে দেবে, তাও প্রচারের বড় অংশে রাখতে বলেছেন অভিষেক। পঞ্চায়েত ভোট গত বছর হয়ে গিয়েছে। এ বার তো আমার ভোট নয়, এমন ভাবনা রেখে বাড়িতে বসে থাকলে হবে না, বলে সাফ জানিয়েছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘‘লোকসভা ভোটের দলের সব পঞ্চায়েত সদস্যকে ঘাম ঝড়াতে হবে।’’ লক্ষ্ণীর ভান্ডার প্রকল্প থেকে কেউ যদি বাদ যাওয়ার খবর পান, তাহলেও ভোটের পর যাতে বাদ পড়া মহিলাকে প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া যায়, সেই নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। লাগাতার কয়েক দিনের প্রচারে পর শনিবার প্রকাশ্যে কোনও সভা করেননি অভিষেক। সেই দিনেই তিনি ভার্চুয়াল বৈঠক করে পঞ্চায়েত সদস্যদের ভোটের রণকৌশল বাতলে দিয়েছেন। অন্য দিকে, রবিবার ঘাটালে তিনি দেবের হয়ে রোডশো করবেন বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর।