আহত তৃণমূল বিধায়কের দেহরক্ষী। —নিজস্ব চিত্র।
গন্ডগোল থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন হাওড়ার বাগনানের তৃণমূল বিধায়ক অরুণাভ সেন। আর বিধায়ককে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হলেন দেহরক্ষী। এই ঘটনায় বিধায়ক আঙুল তুলেছেন সিপিএমের দিকে। অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা তাদের উপর আক্রমণের অভিযোগ করেছে সিপিএম। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাগনানের হেতমপুরে।
তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর, কপালে তিনটি সেলাই নিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তৃণমূল বিধায়কের দেহরক্ষী। অন্য দিকে, ওই গন্ডগোলের ঘটনায় আহত হয়েছেন মোট ১১ জন তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি সোমবার রাতের। বাগনান কলেজ মোড়ে ওই গন্ডগোল বাধে। সোমবারই বাগনান থানার বাকসিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করেছেন। ওই সভা শেষ হওয়ার পর কলেজ মোড়ে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন জনা কয়েক তৃণমূল সমর্থক। চা খাচ্ছিলেন। চলছিল আড্ডা। অভিযোগ, সেই সময় বেশ কয়েক জন তাঁদের আক্রমণ করেন। বিধায়কের দাবি, ‘‘হামলাকারীরা প্রত্যেকেই সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতী। তারা রড-লাঠি ইত্যাদি নিয়ে আক্রমণ চালায়।’’ তিনি গন্ডগোলের খবর পেয়ে দেহরক্ষী রাজকুমার মাঝিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। কিন্তু, তিনি সেখানে যাওয়া মাত্রাই হামলাকারীরা ঘিরে ধরেন বলে অভিযোগ। বাঁশ, লাঠি নিয়ে তাঁরা চড়াও হন বিধায়কের উপর। সেই সময় বিধায়ককে বাঁচাতে গিয়ে দেহরক্ষী রাজকুমার মার খান। অভিযোগ, লোহার রড এবং বাঁশ দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতে মাথা ফাটে রাজকুমারের। চোখেও আঘাত পান তিনি।
বিধায়কের উপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তৃণমূলের আরও লোকজন। মারামারিতে মোট ১১ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের কারও হাত ভেঙেছে। কেউ চোট পেয়েছেন মাথায়। প্রায় প্রত্যেকেই বাগনান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কয়েক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। বিধায়কের দেহরক্ষী রাজকুমারকে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সাবিরউদ্দিন মোল্লার দাবি, জোট প্রার্থীর সমর্থনে রবিবার ওই এলাকায় কর্মিসভা ছিল তাঁদের। সেই সভা শেষে তৃণমূলই সিপিএমের লোকজনের উপর হামলা চালিয়েছে। আর নিজেদের ছোড়া ইটে বিধায়কের দেহরক্ষী আহত হয়েছেন।