— প্রতীকী চিত্র।
রাত পোহালেই বসিরহাটে লোকসভা ভোট। তার ঠিক আগে ভাইরাল দু’টি ক্লিপ। একটি ভিডিয়ো, একটি অডিয়ো ক্লিপ। একটি বিজেপির, অন্যটি তৃণমূলের। মিল একটাই, তা হল ভাষ্যে। দু’টি ক্লিপেই বক্তাদের কণ্ঠে হুমকির সুর স্পষ্ট। আনন্দবাজার অনলাইন কোনও ক্লিপেরই সত্যতা যাচাই করেনি।
বসিরহাট লোকসভার মধ্যেই পড়ে সন্দেশখালি। যে এলাকা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে জমি দখল, ধর্ষণ, মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়েছিল। কিন্তু কার্যত একতরফা এই আন্দোলনে নয়া মোচড় এনে দেয় ভাইরাল হওয়া কয়েকটি ভিডিয়ো ক্লিপ। যে ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। কিন্তু সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বদলে গিয়েছে সন্দেশখালির আবহ। এই পরিস্থিতিতে ওই একই লোকসভা এলাকায় ভাইরাল হল দু’টি ক্লিপ। কোনও ক্লিপেরই সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। প্রথমটি অডিয়ো। সেই ক্লিপের এক প্রান্তে রয়েছেন হাসনাবাদ ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলাম। অন্য প্রান্তে, সিপিএম কর্মী আজিজুল হক। যেখানে শোনা যাচ্ছে বাদামতলার বাসিন্দা সিপিএম কর্মী আজিজুলকে ভোটের পরে দেখে নেওয়া হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন আমিরুল। এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন আমিরুল। তিনি বলেন, ‘‘আমার গলা নকল করে এই কল রেকর্ডিং করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমাকে বদনাম করার জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’’ এ বিষয়ে আজিজুল হাসনাবাদ থানার দারস্থ হয়েছেন।
অন্য ভাইরাল ক্লিপটি বিজেপি নেতার। বসিরহাট লোকসভার বাদুড়িয়ায় বিজেপির একটি কর্মিসভায় কর্মীদের লাঠি হাতে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিতে দেখা যাচ্ছে বিশ্বজিৎ পাল নামে এক বিজেপি নেতাকে। বিশ্বজিৎকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘ভোটের দিন লাঠি, ঝাঁটা প্রস্তুত রাখবেন। পঞ্চায়েত ভোটে যে ভাবে শাসকদল ভোট লুট করেছে সেই ভাবে যদি ভোট লুট করতে আসে তা হলে পিছিয়ে যাবেন না, রুখে দাঁড়াবেন।’’ এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
এ বিষয়ে তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্ট পতবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘এটাই বিজেপির কালচার। মানুষকে উস্কানিমূলক বার্তা দেওয়াটা ওদের সংস্কৃতি। হাজি নুরুল প্রার্থী হওয়ার পরেই বিজেপি জেনে গিয়েছে যে, ওরা হেরে গিয়েছে। সেই কারণেই এই সব উস্কানিমূলক কথাবার্তা। ৪ তারিখে দেখে নেবেন।’’