গৌতম দেব। — ফাইল চিত্র।
গত বিধানসভা ভোটে নিজে শিলিগুড়ি থেকে জিততে পারেননি। পরে পুরভোটে খানিক মুখরক্ষা হয়েছিল। জিতে মেয়রও হয়েছেন। সেই গৌতম দেব এ বার চাইছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি আসন দু’টি উপহার দিতে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বুধবার নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে শিলিগুড়ির মেয়রের হুঙ্কার, “হয় জিতব না হয় মরব। দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি— দু’টি লোকসভা মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেবই।”
দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রকে এ বার পাখির চোখ করতে চাইছে তৃণমূল। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে পাহাড়কে কেন্দ্র করে একাধিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বহু ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু গত লোকসভা ও বিধানসভায় পাহাড়ে আশানুরূপ ফল হয়নি। তবে রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, ‘ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা’র সুপ্রিমো অনিত থাপার সমর্থনে আশার আলো দেখছে দল।
প্রার্থী ঘোষণা না হলেও বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন। তার তদারকিতে বেরিয়ে গৌতম বলেন, “দেওয়াল লিখনের মধ্য দিয়ে ভোটের প্রচার শুরু হয়ে গেল। প্রার্থিতালিকা ঘোষণা হয়নি, তবে খুব শীঘ্রই তা ঘোষণা করা হবে। এ বছর ডু অর ডাই সিচুয়েশন!” তাঁর সংযোজন, “এই দুই লোকসভা কেন্দ্রের কর্মীদের কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছি। আমি সবটা পর্যবেক্ষণ করব।”
শাসকদলের একাংশের মত, প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বিজেপির অন্দরের কোন্দল খানিকটা হলেও এগিয়ে রেখেছে তাদের। দার্জিলিঙে এ বার বিজেপি বর্তমান সাংসদ রাজু বিস্তাকে টিকিট না দিয়ে প্রাক্তন আমলা হর্ষবর্ধন শ্রীংলাকে প্রার্থী করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসছে। তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, বিজেপি যদি শেষ পর্যন্ত প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধনকেই টিকিট দেয়, তা হলে তারাও সেই মতো ঘুঁটি সাজাবে। সেই সূত্রে তৃণমূলের অন্দরে আর এক প্রাক্তন আমলাকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
বিজেপি অবশ্য এ সবে গুরুত্ব দিতে না নারাজ। পাহাড়ের এক বিজেপি নেতার কথায়, “তৃণমূল যতই চেষ্টা করুক দার্জিলিং বিজেপির দখলেই থাকবে। জলপাইগুড়িতেও আমরাই জিতব। উত্তরবঙ্গকে যে ভাবে সব কিছু থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে এই তৃণমূল সরকার, তার ফল তারা পাবে।”