—প্রতীকী চিত্র।
প্রচারে বচসা-গোলমালের ঘটনায় বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী ও তাঁর নিরাপত্তা রক্ষী-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হল।
শনিবার তাপস কুমার রায় নামে এক তৃণমূল কর্মী বহরমপুর থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতে অধীর ছাড়াও বহরমপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা হিরু হালদার, অধীরের নিরাপত্তারক্ষী-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে বাধাদান, আঘাত করা, অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন-সহ কয়েকটি ধারায় মামলা হয়। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মনোজ চক্রবর্তীও একই ঘটনায় তৃণমূলের কয়েক জনের বিরুদ্ধেও পাল্টা একই অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ দু’টি মামলারই তদন্ত শুরু করেছে। বহরমপুরের পুরপ্রধান তৃণমূলের নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে অধীর চৌধুরী আমাদের কর্মীর উপরে চড়াও হয়েছেন, মারধর করেছেন। সিসিটিভির ফুটেজ-সহ থানায় অভিযোগ করেছি। কংগ্রেস ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।’’ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, ‘‘নিয়ম মেনে নির্বাচনী কর্মসূচি শেষে অধীর চৌধুরী বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় তৃণমূলের দূষ্কৃতীরা তাঁর পথ আটকে তাঁকে কটূক্তি করে ও হুমকি দেয়। থানায় সব জানিয়েছি।’’ এ দিকে, রবিবার সন্ধ্যায় বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল নতুনবাজারে যান নাডুগোপাল।
শনিবার বিভান দে নামে এক তৃণমূল কর্মীকে ‘ধাক্কা মারার’ অভিযোগ উঠেছিল অধীরের বিরুদ্ধে।এ দিন নাড়ুগোপাল ও ইউসুফ তাঁর বাড়িতে যান। বিভান তাঁদের সামনে দাবি করেন, ‘‘গতকাল অধীর চৌধুরী আমাকে চড় মারার হুমকি দেন। পাল্টা প্রশ্ন করায় আমাকে ধাক্কা মারেন, হুমকি দেন।’’ ইউসুফ বলেন, ‘‘জনসমক্ষে বিভানকে হেনস্থা করেছেন। যা হয়েছে, খুব খারাপ হয়েছে। এটা হওয়া উচিত হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজ আমি দেখেছি। খুব খারাপ লেগেছে।’’ কংগ্রেসের দাবি, বিভান হেনস্থা করেছেন অধীরকে। এ নিয়ে ইউসুফের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ভিডিয়োতে সবই দেখা গিয়েছে। কী করে তিনি (অধীর) বলছেন যে ওঁকে হেনস্থা করা হয়েছে।’’