(বাঁ দিকে) অধীর চৌধুরী এবং মহম্মদ সেলিম। (ডান দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট ভেস্তে যাওয়া নিয়ে ভোটের ময়দানে দুই পক্ষই দুষছে একে অপরকে। এ বার ওই নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীকে দুষলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের সমর্থনে জনসভা থেকে অভিষেক অধীরকে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদের জোট প্রার্থী মহম্মদ সেলিমকে পরিযায়ী নেতা বলে কটাক্ষ করেন। পাল্টা তৃণমূলের ‘সেনাপতি’কে ‘খোকাবাবু’ বলে কটাক্ষ করেছেন অধীরও।
বুধবার রঘুনাথগঞ্জের জনসভা থেকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বলেন, ‘‘বিহারে, মহারাষ্ট্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে বলছে, বিজেপিকে উৎখাত করতে আমাদের তৃণমূলকে দরকার রয়েছে। আর এ দিকে এখানকার কংগ্রেসের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার অধীর চৌধুরী সিপিএমের মহম্মদ সেলিমকে সঙ্গে নিয়ে ধূপগুড়িতে সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর আমার বাপবাপান্ত করছে।’’ অভিষেকের সংযোজন, ‘‘কার হাত শক্তিশালী করছে এই কংগ্রেস এবং সিপিএম?’’ এর পর সেলিমকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, ‘‘সিপিএমের পরিযায়ী নেতা এক বার রায়গঞ্জে দাঁড়ায়, এক বার উত্তর কলকাতায় দাঁড়ায়, এক বার দাঁড়ায় মুর্শিদাবাদে।’’
অভিষেক দাবি করেন, বাংলায় বিজেপির ‘বি টিম’ হিসাবে কাজ করছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। এখানে বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াই করছে তৃণমূলই। সভায় একটি অডিয়ো ক্লিপও শোনান অভিষেক। তার পর বলেন, ‘‘১০০ দিনের টাকা আসছে না। রাজ্য সরকার বার বার কেন্দ্রকে জানিয়েছে, ‘টাকা দিন’। কিন্তু এই বিষয়ে কংগ্রেস, সিপিএম চুপ ছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অধীর চৌধুরী এ নিয়ে কোনও চিঠি লেখেননি কেন্দ্রকে।’’ সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির ‘যোগসাজশ’-এর অভিযোগ করে নাম না করে অধীরকে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, ‘‘উনি বার বার বলছেন, বহরমপুরে এসে লড়াই করুন। এক বার বলুন না, ডায়মন্ড হারবারে আমার বিরুদ্ধে লড়তে।’’
ওই জনসভার পর মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খানের সমর্থনে জলঙ্গিতে রোড-শোয়ে অংশ নেন অভিষেক।
অন্য দিকে, অভিষেকের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে অধীর পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘তৃণমূলের খোকাবাবু কী বলেন! ওঁর দলের লোকেই ওঁর কথা শোনেন না। আমরা গুরুত্ব দিতে যাব কেন?’’