TMC

ভোটের আগে চাই আরও শক্তি! ‘বহিষ্কৃত’ এবং ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের আবার যোগদান করাল তৃণমূল

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সূত্রে খবর, পুনরায় ওই নেতাদের সংগঠনের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও গড়বেতা-২ ব্লকের দুই নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

গড়বেতা ও মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৫৩
Share:

তৃণমূলের যোগদান কর্মসূচি। —নিজস্ব চিত্র।

লোকসভা নির্বাচনের আগে শক্তি বৃদ্ধি করতে বহিষ্কৃত নেতা এবং কর্মীদের পুনরায় দলে ফেরাল তৃণমূল। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে বেশ কয়েক জন বহিষ্কৃত দলীয় নেতা এবং কর্মীর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হয়। তা ছাড়াও, গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় যাঁরা ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করে নির্দল প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদেরও দলে টানল তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরার নেতৃত্বে এই যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

গড়বেতা-২ ব্লকের শারবৎ ৮ নম্বর অঞ্চলের সভাপতি, সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতি মণিরুল খান, এসটি সেলের সভাপতি কিষান হেমব্রম, ব্লক যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি চিন্ময় মাহাতো-সহ আরও বেশ কয়েক জন নেতা, যাঁরা নানা সময়ে দলবিরোধী কাজে অভিযুক্ত বলে শাস্তি পেয়েছিলেন, লোকসভা ভোটের আগে তাঁদের সকলে দলে ফিরেছেন। জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, পুনরায় তাঁদের সংগঠনের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও, গড়বেতা-২ ব্লকের দুই নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আবার তাঁদের দলে যুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয়।

উল্লেখ্য, সোমবার খড়্গপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ও মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে খবর, প্রথম বৈঠক হয় দুই সাংগঠনিক জেলার বিধায়কদের নিয়ে। পরের বৈঠকটি হয় জেলায় দলের ব্লক সভাপতি, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান-সহ অন্তত ১৫০ জন আমন্ত্রিতের সঙ্গে। দলীয় সূত্রের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর কড়া নির্দেশ, সকলকে সমন্বয় রক্ষা করে চলতে হবে। বিধায়কের সঙ্গে যাতে ব্লক সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সমন্বয় থাকে। একই ভাবে দলের টাউন প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও যাতে পুরসভার কাউন্সিলর ও পুরপ্রধানদের যোগাযোগ থাকে। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখেই যাতে দলের কাজ করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement