গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে শতাব্দী রায়। — নিজস্ব চিত্র।
ভোটের প্রচারে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী তথা এলাকার বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায়। রাস্তার দাবিতে গ্রামবাসীরা শতাব্দীকে ঘিরে ধরে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। শতাব্দী অবশ্য মেজাজ হারাননি। ধৈর্য ধরে সমস্ত অভিযোগ শোনার পর তিনি কাজের প্রতিশ্রুতি দেন। এর পরেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ থামিয়ে শতাব্দীর নামে জয়ধ্বনি দেন।
বীরভূম লোকসভার নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের নোয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোকুলনগর গ্রাম। রবিবার সেখানেই প্রচারে গিয়েছিলেন শতাব্দী। গ্রামবাসীদের দীর্ঘ দিনের দাবি, রাস্তা সংস্কারের। কিন্তু অভিযোগ, বার বার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শতাব্দী গ্রামে যেতেই ক্ষোভের বাঁধ ভাঙে। গ্রামবাসীরা রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন গ্রামের রাস্তা সারাই না হওয়ায় যাতায়াতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। গ্রামবাসীরা দাবি তোলেন, ওই ভাঙাচোরা, কর্দমাক্ত রাস্তায় পায়ে হেঁটে যেতে হবে শতাব্দীকে। এর পরেই শতাব্দী নিজে বিক্ষোভরত গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। আলোচনায় ক্ষোভের পারদ নামতে থাকে। শতাব্দী তাদের জানান, কেন এত দিন কাজ হয়নি। ভোটের পর নতুন করে রাস্তা তৈরি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। এর পরেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ থামান। কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের শতাব্দীর নামে জয়ধ্বনি দিতে দেখা যায়।
শনিবার দুপুরে শতাব্দী খানিক হতাশ হয়েই জানিয়েছিলেন, ফাঁকা মাঠে খেলে মজা পাচ্ছেন না তিনি। ঘুরিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপিকে। কারণ তখনও পর্যন্ত বীরভূমে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি বিজেপি। রাতে ওই আসনে রাজনীতিতে নবাগত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তা দেবাশিস ধরের নাম ঘোষণা করে পদ্মশিবির। রবিবার এ নিয়েও শতাব্দীকে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, বিজেপি প্রার্থী ঘোষণার পরেও কি তিনি জয় নিয়ে একই রকম আশাবাদী? তার জবাবে তারকা অভিনেত্রী তথা তিন বারের সাংসদ শতাব্দী বলেন, ‘‘আমি এ বার ২০০ শতাংশ আশাবাদী।’’