প্রচারে বেরিয়ে গ্রামবাসীর কাছে আটকে গেলেন শতাব্দী রায়। —নিজস্ব চিত্র।
ভোটপ্রচারের শেষ দিন। তাই প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। কিন্তু শেষ লগ্নে পৌঁছেও বিক্ষোভ পিছু ছাড়ল না তৃণমূল প্রার্থীকে। আবারও তাঁকে ছেঁকে ধরলেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ মোটামুটি এক— পানীয় জলের সমস্যা। সঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা না-পাওয়ার অভিযোগও উঠল। কেউ কেউ অনুযোগ করলেন, বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন না। ঘটনাস্থল মহম্মদবাজারের মকদমপুর গ্রাম। যদিও এ বার গাড়ি থেকে নামেননি শতাব্দী। হাসিমুখে সবার অভিযোগ শুনেছেন। তার পর গাড়ির জানলা দিয়ে সবাইকে হাতজোড় করে নমস্কার জানিয়ে বেরিয়ে যান। তৃণমূল প্রার্থীকে ঘিরে আবারও বিক্ষোভের ঘটনায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
মাঝে আর একটা দিন। তার পরেই বীরভূম লোকসভায় ভোট। প্রচারের শেষ বেলায় একের পর এক এলাকায় প্রচার করছিলেন শতাব্দী। কিন্তু, থমকাতে হল মকদমপুরে এসে। বিদায়ী সাংসদ তথা লোকসভার প্রার্থী শতাব্দীকে সামনে পেয়ে একের পর এক দাবি শোনাতে থাকেন মহিলারা। পানীয় জলের সমস্যার কথা ছিল প্রায় সবার মুখেই। কেউ কেউ বললেন, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছেন না। বেশ কিছু ক্ষণ আটকে থাকে শতাব্দীর গাড়ি। জানলা দিয়ে মুখ বার করে সবাইকে শান্ত হওয়ার আবেদন করেন তিনি। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও কথা বলেননি শতাব্দী। তার পরেই ওই জায়গা থেকে শতাব্দীর গাড়ি বেরিয়ে যায়। যাঁরা অভিযোগ জানাচ্ছিলেন, তাঁদের কয়েক জন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অসুবিধার কথা বলতে চেয়েছিলাম। সময়ই পেলেন না উনি। আমরা বেশি কিছু চাইছি না। শুধু সরকারি পরিষেবা যেন ঠিক মতো পাই।’’
এর আগে বেশ কয়েক বার তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভের মুখে পড়েছেন শতাব্দী। তবে প্রতি বারই তিনি দাবি করে এসেছেন, এগুলি বিক্ষোভ নয়। মানুষ আবদার করছেন তাঁর কাছে। সাংসদকে কাছে পেয়ে তাঁদের অসুবিধার কথা জানাচ্ছেন। শনিবারের ঘটনা তেমনই বলে দাবি করছে তৃণমূল। তবে শতাব্দীর তরফে এ বার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বীরভূম বিজেপির সহ-সভাপতি দীপক দাস বলেন, ‘‘শতাব্দী রায়কে ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হচ্ছে। আমার মনে হয়, এতে উনি নিজে যতটা দায়ী, তার চেয়েও বেশি দায়ী বুথ লেভেলের নেতারা। তাঁদের কার্যকলাপ, দুর্নীতিতে মানুষ মুখ খুলছেন। এর প্রভাব তো ভোটবাক্সে পড়বেই।’’