বাঙালি খাবারে মজেছেন ইউসুফ পাঠান। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
ইফতারের আসরে সাজানো লোভনীয় সমস্ত পদ। ফল আছে। মাংসের পদ রয়েছে। শুকনো খাবার-দাবার, মিষ্টান্ন থেকে নানা রকম বাহারি পদ প্রস্তুত করা হয়েছে গুজরাত থেকে বহরমপুরে আসা তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের জন্য। সঙ্গে গুজরাতি খাবার তো রয়েইছে। তবে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ইউসুফ মজেছেন ভেটকি ফ্রাই-তে। মুখে লেগে রয়েছে বহরমপুরের বিখ্যাত ছানাবড়াও।
শুক্রবার ইফতার পর্বে ধোকলার পর ভেটকি ফ্রাই পড়েছিল ইউসুফের পাতে। তার পর গোলাপ জামুনের পর দেশি ঘি-তে ভাজা ছানাবড়া। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে হাত ধুতে ধুতে ইউসুফের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ভেটকি ফ্রাই আর ছানাবড়াটা বেস্ট।’’ গুজরাতি খাবারের থেকেও বাঙালি পদ যে তাঁর মন কেড়েছে, তা অকপটে জানালেন অধীর চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বী।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের শিল্প তালুকের একটি বেসরকারি হোটেলে থাকছেন তৃণমূল প্রার্থী পাঠান। ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি বরাবর শ্রদ্ধাশীল তিনি। প্রতি বছর রমজান মাসে নিয়ম করে রোজা রাখেন এই ক্রিকেটার। মুর্শিদাবাদ এসেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুক্রবার ইফতারের মেনুতে বিভিন্ন পদ ছিল ইউসুফের জন্য। বিশেষ পদ হিসাবে গঙ্গার ভেটকি দিয়ে ফ্রাই আর বহরমপুরের ছানাবড়া। তৃপ্তি করে সে সবই খেয়েছেন পাঠান। গুজরাতি খবরের সঙ্গে তুলনা টেনে বাংলার ভেটকি ফ্রাই এবং ছানাবড়াকেও ‘খুব ভাল’ বলছেন তৃণমূলের এই প্রার্থী।
শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে এই মরসুমের আইপিএল। নির্বাচনী ব্যস্ততার মধ্যে কি খেলা দেখবেন? ইউসুফ বলেন, “যত নতুন খেলোয়াড় আছেন, তাঁদের সবাইকে আমার তরফে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। প্রতিটি দলকেও শুভেচ্ছা জানালাম।”
ইউসুফ এখন বহরমপুর শহরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে রাজা মিঞার মোড়ের মসজিদে যান নমাজ পড়তে। প্রার্থনা শেষে আবার তাঁর অস্থায়ী ঠিকানায় ফেরেন। শনিবার থেকেই টানা প্রচারসূচি রয়েছে পাঠানের। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রচারে কোনও রকম ফাঁকফোকর রাখতে চায় না তারা।