আবু তাহের খান এবং তসলিমা বিবি। —ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের পর তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। সেই পঞ্চায়েত সদস্যাকে প্রধান করে বোর্ড গঠন করে বাম এবং কংগ্রেস। ভোটপ্রচারে বেরিয়ে সেই পঞ্চায়েত প্রধানকে নাম-না করে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠল লোকসভার তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে শোরগোল মুর্শিদাবাদের জেলা রাজনীতিতে। কংগ্রেসের অভিযোগ, ভগবানগোলায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে নাম-না করেও তৃণমূল থেকে কংগ্রেসের যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত প্রধানকে হুমকি দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান। ভগবানগোলা রেল স্টেশন সংলগ্ন সভা থেকে ভগবানগোলা বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী তথা ব্লক তৃণমূল সভাপতি রিয়াত হোসেন সরকারকে পাশে বসিয়ে নাম-না করে হাবাসপুর পঞ্চায়েতের প্রধানের উদ্দেশে আবু তাহের বলেন, দলে না-ফিরলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত পঞ্চায়েত ভোটে হাবাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয় নয়টি আসনে। সিপিএম পায় পাঁচটি এবং কংগ্রেস জয়ী হয় তিনটি আসনে। তবে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য তসলিমা বিবি তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে যোগ দেন। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে বাম-কংগ্রেস। সেখানে প্রধান হন তসলিমা বিবি। সভা থেকে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের বলেন, ‘‘সাত দিন সময় দিলাম। সাত দিনের মধ্যে দলে না ফিরলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পাশাপাশি ভোটের পর ভয়ঙ্কর কিছু হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আবু তাহের নাম-না করলেও তাঁকে উদ্দেশ্য করেই যে ওই হুঁশিয়ারি তা বুঝে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তসলিমা বলেন, ‘‘অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি।’’
অন্য দিকে, প্রধানের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘রাজ্যের শাসকদলের এক নেতার এ হেন মন্তব্যে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত সদস্যার নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।’’ তবে তাঁরা কোথাও অভিযোগ জানাবেন কি না, জানাননি।