হেলমেট পরে দোকানে হামলার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
লোকসভা ভোটে বিজেপির নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছিলেন। সেই ‘অপরাধে’ ওই বিজেপি নেতার দোকানে ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বর্ধমান শহরের মিঠাপুকুর এলাকার ওই ঘটনায় জোর রাজনৈতিক শোরগোল শুরু হয়েছে। যদিও ওই ঘটনার সঙ্গে দল কোনও ভাবেই যুক্ত নয় বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।
ভোটের ফল বেরোনোর পর রাজ্যের নানা প্রান্তে রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ উঠেছে। এ বার ঘটনাস্থল বর্ধমান শহর। শুক্রবার রাতে হেলমেট এবং গামছায় মুখ ঢেকে বিজেপি কর্মী বিশ্বনাথ মোদকের দোকানে হামলার ঘটনায় নাম জড়াল শাসকদলের। বিশ্বনাথের অভিযোগ, ভোটে তিনি বিজেপির হয়ে বুথ এজেন্ট হয়েছিলেন। সেই জন্য এই তাণ্ডব চলে। বিশ্বনাথের আরও অভিযোগ, তাঁর দোকানে ভাঙচুর এবং লুটপাট চালানোর সময় তাঁর স্ত্রীকেও মারধর করে দুষ্কৃতীরা।
বিশ্বনাথের স্ত্রী বলেন, ‘‘আমার স্বামী আগে তৃণমূল করত। এখন বিজেপি করে। বিজেপির হয়ে ১১২ নম্বর বুথে এজেন্ট হয়েছিল। সেই কারণেই তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতী এসে আমাদের দোকানে হামলা চালিয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, যাতে কাউকে চিহ্নিত করতে না পারা যায়, সে জন্য মুখে গামছা বেঁধে ভাঙচুর এবং লুটপাট চালানো হয়েছে। এই অভিযোগের সপক্ষে তিনি দোকানের সিসিটিভির ফুটেজ সামনে আনেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গামছা মুখে বেঁধে, হেলমেট পরে দোকানের সামনের সমস্ত জিনিস রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে কয়েক জন। এই গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতার স্ত্রী। তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তবে এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বাগবুল ইসলামের দাবি, ‘‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। তৃণমূল এর সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত নয়। হেলমেটে মুখ ঢেকে এসেছিল অভিযুক্তেরা। তাই ওরা বিজেপির লোকও হতে পারে। এটা বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনাও হতে পারে। তবে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তার নিন্দাও করছি।’’
অন্য দিকে, বর্ধমান শহরের কালনাগেট এলাকায় বিজেপির এক মহিলা কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সেখানেও নাম জড়ায় শাসকদলের। দোলনচাঁপা দাস নামে ওই বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, ‘‘ভোটের ফলঘোষণার হওয়ার পর রাতেই তৃণমূলের একদল দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে। গ্রিল কেটে বাড়ির ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। তবে প্রতিবেশীরা রুখে দাঁড়ানোয় ওরা পালিয়ে যায়।’’