বিজেপির পার্টি অফিস পুড়ে খাক! —নিজস্ব চিত্র।
নন্দীগ্রামে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সাউদখালি বুথ এলাকায়। শাসকদল অবশ্য আগুন লাগানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির আদি ও নব্যের দ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছে এই ঘটনার জন্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম ৩ নম্বর মণ্ডলের অন্তর্গত সোনাচূড়া পঞ্চায়েতের ২৭০ নম্বর বুথ এলাকায় রাত দেড়টা নাগাদ বিজেপির পার্টি অফিসটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়েই স্থানীয় বিজেপির নেতা-কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও, তত ক্ষণে পার্টি অফিসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। নন্দীগ্রাম মণ্ডল ৩-এর সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মাইতির দাবি, ‘‘গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। তার পর থেকেই এই পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিশানা করা হচ্ছে। গতকাল রাতে তৃণমূলের লোকজনকে পতাকা লাগাতে দেখা গিয়েছে। তার পরেই পার্টি অফিসে আগুন লাগে।’’ বিজেপির বক্তব্য, এই ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার না করা হলে নন্দীগ্রাম জুড়ে আন্দোলন হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের স্থানীয় নেত্রী তথা নন্দীগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির-সহ সভাপতি জয়ন্তী মণ্ডলের দাবি, ‘‘বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগানোর ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। এখানে বিজেপির আদি-নব্য দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। এই অগ্নিকাণ্ডেরর পেছনে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব কাজ করেছে। সাউথখালি ২৭০ নম্বর বুথে প্রতিনিয়ত হামলার সম্মুখীন হচ্ছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। দিন কয়েক আগেও এখানকার এক তৃণমূল কর্মীকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যও বিজেপির। ওরা যেখানে ক্ষমতায় আছে, সেখানেই অত্যাচার চালাচ্ছে। এখন নিজেরাই উত্তেজনা ছড়িয়ে তৃণমূলকে ঘরছাড়া করতে চাইছে।’’