Lok Sabha Election 2024

নেই প্রার্থীরা, প্রচারে ফাঁকা মাঠ রবিবার

এ দিন সকালে জাহানারা রানিগঞ্জের সিয়ারসোল গ্রামের বাস্কেটপাড়া, বাউরিপাড়া, ঠাকুরপুলি, কলকলিপাড়া ও লাগোয়া এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার সেরেছেন। বিকেলে একই ভাবে গির্জাপাড়ায় বেশ কয়েকটি এলাকায় যান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ ও দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪ ০৮:৩৫
Share:

কাঁকসার গোপালপুরে বিজেপির সভা। —নিজস্ব চিত্র।

ভোট ঘোষণার পরে প্রথম রবিবার জোরদার প্রচার দেখা গেল না জেলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্র এলাকাতেই। আসানসোল ও বর্ধমান-দুর্গাপুর— দুই কেন্দ্রেই এখনও বিজেপির প্রার্থী নেই। তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করলেও, বর্ধমান-দুর্গাপুরের কীর্তি আজাদ ও আসানসোলের শত্রুঘ্ন সিন্‌হা— দু’জনই এই মুহূর্তে এলাকায় নেই বলে দল সূত্রের খবর। ফলে, প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারের মাঠ ফাঁকাই থাকল এই দুই দলের জন্য। আসানসোলের সিপিএম প্রার্থী জাহানারা খানকে অবশ্য এ দিন দেখা গেল জনসংযোগ সেরে নিতে।

Advertisement

এ দিন সকালে জাহানারা রানিগঞ্জের সিয়ারসোল গ্রামের বাস্কেটপাড়া, বাউরিপাড়া, ঠাকুরপুলি, কলকলিপাড়া ও লাগোয়া এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার সেরেছেন। বিকেলে একই ভাবে গির্জাপাড়ায় বেশ কয়েকটি এলাকায় যান তিনি।

তৃণমূল কর্মীদের একাংশের দাবি, জেলায় দলের দুই প্রার্থীই আদতে ভিন্‌ রাজ্যের বাসিন্দা। তাই তাঁদের যে সব সময় পাওয়া যাবে না, তা দলীয় নেতৃত্ব বুঝছেন। তাই তাঁদের বাদ দিয়েই বেশির ভাগ প্রচারের আয়োজন করতে বাধ্য হচ্ছে দল। যদিও তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, এ দিন আসানসোলে দলের জেলা কার্যালয়ে দলের আইটি সেলের বৈঠক হয়। সেখানে সমাজ মাধ্যমে কী ভাবে দলীয় প্রচার করতে হবে, সে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যেই জেলার দু’টি কেন্দ্রেরই প্রার্থী প্রচারে যোগ দেবেন বলে দাবি তাঁর। তিনি আরও জানান, প্রার্থীদের ছাড়া দলের বিভিন্ন সংগঠনের তরফে বুথ স্তরে বৈঠকের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। দুর্গাপুরে শনিবার দলের এসসি-এসটি সেলের জেলা সংগঠনের কর্মী সম্মেলন ছিল। তবে রবিবার কোনও কর্মসূচি ছিল না। দলের জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই বুথভিত্তিক প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। এ দিন বড় কোনও কর্মসূচি না থাকলেও পাড়ায়-পাড়ায় প্রচার চলেছে।’’

Advertisement

তৃণমূল এবং সিপিএম আসানসোলে প্রার্থী ঘোষণা করলেও, বিজেপির এখনও প্রার্থী নেই এই কেন্দ্রে। দলের কর্মীদের একাংশের দাবি, বহিরাগত না স্থানীয়— কে প্রার্থী হবেন, সে নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব বাড়ছে। প্রচারেও তাই জোর আসছে না। দলের আসানসোল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায় জানান, শনিবার রাতে পাণ্ডবেশ্বরে দলের নেত্রীর গুমটি জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে রবিবার তাঁরা এলাকায় প্রচার করেননি। পরিবর্তে এই ঘটনায় তৃণমূলের সন্ত্রাসের চেষ্টার বিরুদ্ধে সমাজ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

বিজেপির উদ্বাস্তু সেলের তরফে এ দিন কাঁকসার গোপালপুরের বাঁদরা মোড়ে সিএএ নিয়ে সভার আয়োজন করা হয়। ছিলেন বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, দলের নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়েরা। সভা থেকে লোকসভা ভোটে দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করার আহ্বান জানানো হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement