—ফাইল চিত্র।
তৃতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রী হতে চলেছেন বাংলার দুই। সুকান্ত মজুমদার এবং শান্তনু ঠাকুর। রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নিলেন তাঁরা। কিন্তু শপথ নিলেও তাঁদের দফতর সম্পর্কে জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, মঙ্গল বার ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করা হবে। তার আগে বঙ্গ রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য কোন কোন দফতরের মন্ত্রী পেতে চলেছে তা নিয়ে।
গত দু’বারের মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় নজর দিলে দেখা যাবে, বাংলা থেকে বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রের মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছেন সাত জন। তাঁরা হলেন বাবুল সুপ্রিয়, সুরিন্দর সিংহ আলুওয়ালিয়া, জন বার্লা, দেবশ্রী চৌধুরী, সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুর এবং নিশীথ প্রামাণিক। এঁদের মধ্যে নিশীথ প্রামাণিক ছাড়া বাংলা কখনওই তেমন প্রথম সারির গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পায়নি। পূর্ণ মন্ত্রিত্বও পায়নি।
২০১৪ সালে বাংলায় যখন দু’টি আসনে জিতেছিল বিজেপি, তখনও দু’জন মন্ত্রী পেয়েছিল বাংলা। আলুওয়ালিয়া ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। এর মধ্যে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক, কৃষি ও কৃষক উন্নয়ন, পানীয় জল ও স্বচ্ছতা এবং শেষে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক ছিল।
বাবুল প্রথম এবং দ্বিতীয়— দুই মোদী মন্ত্রিসভারই সদস্য ছিলেন। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন সময়ে সামলেছেন ভারী শিল্প ও রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থা সংক্রান্ত মন্ত্রক, নগরোন্নয়ন মন্ত্রক, আবাস মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। পরে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
পরে ২০১৯ সালে যখন বাংলায় এক ধাক্কায় ১৬টি আসন বাড়ে বিজেপির, তখন বাংলা পায় চার জন প্রতিমন্ত্রী। প্রথমে বাবুল, দেবশ্রী এবং জন ছিলেন মন্ত্রিসভায়। দেবশ্রী প্রতিমন্ত্রী ছিলেন নারী এবং শিশুকল্যাণ দফতরের। জন সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। পরে ২০২১ সালে মন্ত্রিসভার রদ বদলের পরে দেবশ্রীর মন্ত্রিত্ব যায়। নিশীথ যুব বিষয়ক এবং স্বরাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হন, সুভাষ শিক্ষাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, শান্তনু জাহাজ প্রতিমন্ত্রী এবং নিশীথ স্বরাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
২০২৪ সালে দেবশ্রী ভোটে জেতেননি, টিকিট পাননি জন, নিশীথ এবং সুভাষ দু’জনেই হেরে গিয়েছেন নিজ নিজ আসনে। গত বারের মন্ত্রীদের মধ্যে রয়ে গিয়েছেন শুধু শান্তনুই। অনেকেই মনে করছেন, শান্তনুকে এ বারও জাহাজ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীই করা হবে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পদটিও বাংলার জন্যই রেখে দেওয়া হবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। কারণ, বাংলা এবং আশপাশের রাজ্যগুলিতে সীমান্ত সমস্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তবে বঙ্গ বিজেপির একাংশ মনে করছে, যে হেতু ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, তাই রাজ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দু’জন প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হতে পারে। এ বছর রেল পরিষেবায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাংলা এবং কেন্দ্রেও। সে কথা মাথায় রেখে কেউ কেউ বলেছেন, বাংলা রেল প্রতিমন্ত্রী পেতে পারে।