—প্রতীকী ছবি।
প্রথম দু’টি দফায় কম ভোটদানের ধারা অব্যাহত থাকল তৃতীয় দফাতেও। ওই দফায় যে চারটি আসনে ভোট হয়েছে, তাতে ভোটদানের হার গত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের তুলনায় অনেকটাই কম। প্রসঙ্গত, প্রথম দু’টি দফার ভোটের পরে ভোটদানের হার বাড়ানোর ব্যাপারে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতকে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।
মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে ভোট হয়। ওই দিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটদানের হার ছিল যথাক্রমে ৭৩.৩০%, ৭৩.৬৮%, ৭২.১৩% এবং ৭৬.৪৯%। বুধবার ওই ভোটদানের চূড়ান্ত হার প্রকাশ করেছে সিইও কার্যালয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই চার কেন্দ্রে কমবেশি তিন-পাঁচ শতাংশ বিন্দু করে বেড়েছে ভোটদানের চূড়ান্ত হার। সেই তথ্য অনুযায়ী, মালদহ উত্তরে ভোটদানের হার হয়েছে ৭৬.০৩%, মালদহ দক্ষিণে ৭৬.৬৯%, জঙ্গিপুরে ৭৫.৭২% এবং মুর্শিদাবাদে ৮১.৫২%।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ওই হার ছিল তুলনায় বেশি। সেই বছর মালদহ উত্তরে ৮০.২৮%, মালদহ দক্ষিণে ৮১.০৬%, জঙ্গিপুরে ৮০.৭২% এবং মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছিল ৮৪.২৮%। সে বার ওই চারটি কেন্দ্র মিলিয়ে ভোটদানের সার্বিক হার ছিল ৮১.৫৮%। সে জায়গায় এ বছর সেই হার ৭৭.৫৩%। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে সেই হার ছিল যথাক্রমে ৮০.৬৭%, ৮১.৭৭%, ৮০.০৭% এবং ৮৬.২৮%।
তবে ভোটদানের হার কেন কম থাকছে, তা নিয়ে চিন্তিত দফতরের কর্তারা। প্রশাসনিক বিশ্লেষকদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা তুলনায় অনেক বেশি। তাঁরা ভোট দিতে না আসায় কিছুটা শতাংশ কম হয়েছে হার।
তবে প্রথম দুই দফার মতো গরম পোহাতে হয়নি তৃতীয় দফার দিনে। তা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটের উপর স্বাভাবিকই ছিল। বড় কোনও গোলমাল হয়নি বলে দাবি করেছে সিইও দফতরই। বুধবার সিইও এবং সেই দফতরের অন্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনের অন্য কর্তারা। সেই বৈঠকে এ রাজ্যের ভোট পরিস্থিতি, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে ভোট পরিচালনার বিষয়ে সন্তোষপ্রকাশ করা হয়েছে। প্রশংসা করা হয়েছে ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত করা, জোরদার নিরাপত্তা এবং নজরদারি ব্যবস্থা নিয়েও। আগামী দফাগুলিতেও এই ধারা যাতে অব্যাহত থাকে, সে ব্যাপারেও জানানো হয়েছে সিইও দফতরকে।