—প্রতীকী ছবি।
ভোট লুট রুখতে প্রতিটি বিধানসভায় প্রশিক্ষণ দেবে রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চা। দফা অনুযায়ী শনিবার থেকে সেই প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। চলবে মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত।
প্রার্থী, প্রচার, শীর্ষ নেতৃত্বের জনসভার পরেও নির্বাচনের দিন বুথ আগলাতে না পারলে শেষ রক্ষা হবে না। তা মনে করে যুব মোর্চার উপরে এ বার বাড়তি দায়িত্ব পড়েছে বুথ রক্ষা করার। কিন্তু কী উপায়ে রক্ষা করা যাবে নিজের বুথ? সেই প্রশিক্ষণই চলবে প্রতিটি বিধানসভা এলাকায়। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এর পরে যথাক্রমে শীতলখুচি ও মাথাভাঙায় কর্মসূচি করবে যুব মোর্চা। উপস্থিত থাকবেন রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। উদ্বোধনী দিনে এই তিন বিধানসভায় পথসভা, পদযাত্রা ও কর্মী সম্মেলন হবে। সেখানেই নেতৃত্ব বুথ আগলানোর কৌশল শেখাবেন।
বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভোট হওয়ায় এ বার বুথ দখল কিংবা বুথ ‘জ্যাম’ করতে সমস্যা হবে। বিজেপি শিবিরের শঙ্কা, শাসক দলের চেষ্টা থাকবে ‘ভুয়ো ভোটারে’র মাধ্যমে ভোট শতাংশ বাড়িয়ে নেওয়ার। সে ক্ষেত্রে ভোটার তালিকা ‘স্ক্রুটিনি’র কাজে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সংশোধিত তালিকাতেও যে ‘মৃত’ এবং ‘স্থানান্তরিত’ ভোটারদের নাম রয়ে গিয়েছে, সেই অনুযায়ী ভোট দিতে এলে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে চ্যালেঞ্জ করা এবং বয়স্ক ভোটারদের ক্ষেত্রে বাড়িতে গিয়ে যে ভোট গ্রহণ হবে, সেখানে যাতে কেউ প্রভাব না খাটাতে পারে, সেই দিকে দৃষ্টি দিতে বলা হবে। নিজেদের প্রতিকূল এলাকায় তৃণমূল ভোটদানের হার শ্লথ করে দেয়, এই অভিযোগ তুলে নজর রাখতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে, গ্রাম কিংবা পাড়ার ভিতর থেকে ভোটারদের বুথমুখী করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লে প্রতিরোধের কৌশলও শেখানো হচ্ছে কর্মী সম্মেলনে।
দলের অভ্যন্তরীণ এই প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রতিটি বুথ থেকে কর্মীদের আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে যুব মোর্চা। ইন্দ্রনীলের বক্তব্য, “চাকরি চুরি রুখতে হলে ভোট চুরি রুখতে হবে। আমরা এই স্লোগান তুলেছি। যুব মোর্চার কর্মীরা সাধারণ মানুষকে এই বিষয়টি বোঝাবেন। এর সঙ্গেই বুথ রক্ষা করতে আমরা বিশেষ কিছু পরিকল্পনা ও কৌশল নিচ্ছি। সেটা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করব না।”