—ফাইল চিত্র।
রাজ্যে প্রথম দফার ভোট উত্তরবঙ্গের তিন লোকসভা কেন্দ্র— কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। তার আগে ভোটের ‘ময়দান’ জরিপ করতে তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিলকুমার শর্মা। নির্বাচনে কোথায় কোথায় বুথ, কত বাহিনী থাকবেন সেখানে, কী ভাবেই বা কাজ করবেন তাঁরা, এ নিয়েই বৈঠক করবেন অনিল। কথা বলবেন উত্তরবঙ্গের ওই তিন কেন্দ্রের সমস্ত পুলিশ আধিকারিক এবং পর্যবেক্ষকের সঙ্গে।
রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল একজন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস। তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। মঙ্গলবারই রাজ্যে ভোটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষেই রওনা হন উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে।
মঙ্গলবার রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়েছে এই তথ্য। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী এবং উপ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুব্রত পাল ওই সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা এ-ও জানান যে, এ পর্যন্ত রাজ্যে মোট ১৪ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং সাত জন পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই বৈঠকে রাজ্যে ভোট নিয়ে জমা পড়া অভিযোগ, উদ্ধার হওয়া বেআইনি অর্থেরও হিসাব দিয়েছেন তাঁরা।
নির্বাচন কমিশন অবাধ এবং স্বচ্ছ ভোট করানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে। নিয়মিত চলছে হিসাব-বহির্ভূত নগদ উদ্ধার। পাশাপাশি, রাজ্যের সীমানা এবং ভিতরে সড়কে নাকা চেকিংও চলছে। ১ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে হিসাব-বহির্ভূত ২০৩ কোটি টাকা নগদে উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে রাজ্য পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে নগদ ৩২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। আয়কর দফতর বাজেয়াপ্ত করেছে নগদ ১৪ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। রাজ্য আবগারি দফতর বাজেয়াপ্ত করেছে নগদ ৫১ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা। জিএসটি এবং বাণিজ্যিক কর দফতর বাজেয়াপ্ত করেছে ৫৫ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা। রাজস্ব দফতর বাজেয়াপ্ত করেছে ২৫ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা। মাদক নিয়ন্ত্রক ব্যুরো বাজেয়াপ্ত করেছে ৪৫ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা। রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) উদ্ধার করেছে নগদ ছ’কোটি সাত লক্ষ টাকা। শুল্ক দফতর উদ্ধার করেছে ১৩ কোটি তিন লক্ষ টাকা। এ ছাড়া সশস্ত্র সীমা বল এক কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা এবং বন দফতর এক কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে।
নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণের জন্য সিভিজিল নামের একটি অ্যাপ চালু করেছে কমিশন। সেই অ্যাপে কেউ কোনও অভিযোগ জানালে কমিশন ১০০ মিনিটের মধ্যে তাঁর সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে। কমিশন জানিয়েছে, সেই অ্যাপে মঙ্গলবার তালিকা প্রকাশ পর্যন্ত ৫২৩৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ৪৮৯৬টি অভিযোগ নিয়ে পদক্ষেপ করেছে কমিশন। ৮০৪টি অভিযোগ বাতিল করেছে। ৬৮টি অভিযোগ শোনা বাকি।