প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে কাশ্মীরে আলোচনা সভার আয়োজন করতে উদ্যোগী হয়েছিল সেনা। এমন বিষয়ে সেনা কেন উদ্যোগী হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরে সেই আলোচনা সভা বাতিল করল বাহিনী। তাদের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, ভোট ঘোষণার ফলে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়েছে। তাই বাতিল হয়েছে আলোচনা সভা। কিন্তু সেনার অরাজনৈতিক ও ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ভেঙে তাদের রাজনীতিতে জড়ানোর চেষ্টা নিয়ে সরব উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের কাছে শ্রীনগরের হেডকোয়ার্টার ৩১ সাব এরিয়ার জেনারেল অফিসার কমান্ডিং পিবিএস লাম্বার তরফে একটি আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। তাতে জানানো হয়, ২৬ মার্চ কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাগৃহে ২০২৩ সালে তৈরি নয়া ফৌজদারি দণ্ডবিধি ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সম্পর্কে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে সেনা। জুলাই মাস থেকে নয়া দণ্ডবিধি চালু হওয়ার কথা। বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডে ইতিমধ্যেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হয়েছে। গোটা দেশে এই আইন চালু করা বিজেপির অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি।
সেনার তরফে এই আমন্ত্রণের পরেই সরব হয় উপত্যকার দলগুলি। ন্যাশনাল কনফারেন্সের উপসভাপতি ওমর আবদুল্লা প্রশ্ন তোলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মতো বিতর্কিত বিষয়ে কি আদৌ সেনার জড়িয়ে পড়া উচিত? তাও কাশ্মীরের মতো সংবেদনশীল এলাকায়? তাঁর কথায়, ‘‘নির্দিষ্ট কারণে ভারতীয় সেনাকে অরাজনৈতিক ও ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এই আলোচনা সভা দুই নীতিরই বিরোধী। এর ফলে সেনার বিরুদ্ধে রাজনীতিতে জড়ানো ও ধর্মে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠবে।’’
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেন ওমরের দলের মুখপাত্র তনভীর সাদিক। অন্য দিকে মেহবুবা মুফতির দল পিডিপি-র মুখপাত্র নাজমুস সাকিব দাবি করেন, সেনা জম্মু-কাশ্মীরে রাজনীতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য ক্রমশ ঘুচিয়ে ফেলছে। ফলে ঘুণ ধরছে সাংবিধানিক ব্যবস্থাতে। এর পরেই সেনা জানায়, আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ায় আলোচনা সভা বাতিল হয়েছে।