আসানসোলে বিজেপির প্রচারে দীনেশলাল যাদব। —নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্রে কে প্রার্থী হবেন, তা শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ঘোষণা করতে পারেনি বিজেপি। এরই মধ্যে এই কেন্দ্রে ‘তারকা প্রচার’ শুরু করে দিলেন নেতৃত্ব। দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এ দিন শহরে রোড-শো থেকে বাড়ি বাড়ি প্রচার ও জনসভা করলেন আজমগড়ের বিদায়ী সাংসদ, ভোজপুরি গায়ক দীনেশলাল যাদব। জেলা নেতৃত্বের দাবি, দলের প্রার্থী ঠিক করবেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তার আগে প্রচারের ক্ষেত্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
বিজেপির প্রথম তালিকাতে এই কেন্দ্রের জন্য ভোজপুরি গায়ক পবন সিংহের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা সমাজ মাধ্যমে পবনের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক পোস্ট করেন। এর ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পবন বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি সম্মান জানিয়ে আসানসোল থেকে প্রার্থী না হওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এই পিছনে তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখান। এর প্রায় ১০ দিন পরে বিজেপির দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়। ওই তালিকাতেও আসানসোল কেন্দ্রের জন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি।
এরই মধ্যে দলের নির্বাচনী প্রচারে শুক্রবার আসানসোলে আসেন দীনেশলাল। দলীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ তিনি রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনে করে আসানসোল স্টেশনে নামেন। দলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্ব তাঁকে স্বাগত জানান। স্টেশন থেকে সরাসরি তিনি ঘাঘরবুড়ি মন্দিরে পুজো দেন। পরে সুকান্ত ময়দানে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন। চিনাকুড়িতে দলীয় সভায় যোগ দেন। পরে আসানসোলে একটি রোড-শো করেন। তাঁকে দেখতে সুকান্ত ময়দান ও চিনাকুড়িতে সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল।
এ ভাবে প্রচার শুরুর কারণ কী। দীনেশ বলেন, “কে প্রার্থী হবেন, তা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবেন। কিন্তু প্রার্থী যেই হোন না কেন, দলকে জেতাতে প্রচার করা যেতেই পারে। সেই জন্য আমি এসেছি।” দীনেশের দাবি, বিজেপি আবার কেন্দ্রে মন্ত্রীত্ব গঠন করবে। দলের লক্ষ্য চারশোর বেশি সাংসদ নিয়ে দিল্লি জয়। সেই লক্ষ্যেই দলের তরফে প্রচার করা হচ্ছে। বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জানান, দু’-একদিনের মধ্যে আসানসোলে বিজেপির প্রার্থীর নাম ঘোষণা হবে।
এমন প্রচার প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর মন্তব্য, “ওদের প্রার্থী নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। মানুষ তৃণমূলকেই জেতাবেন।”