—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
লোকসভা ভোটের আগে, চা বাগানে ভোটের জমি উদ্ধার করতে রাতে তাঁবু খাটিয়ে থাকবেন তৃণমূলের শ্রমিক নেতারা। অন্তত এমনই পরিকল্পনা হয়ছে। কাল, সোমবার আলিপুরদুয়ারের সঙ্কোশ চা বাগান থেকে শুরু হচ্ছে তৃণমূলপন্থী চা শ্রমিকদের পদযাত্রা। চলবে টানা এগারো দিন। চলার পথে একশো কুড়িটি চা বাগান পার হবে পদযাত্রা। প্রতিদিনই কোনও না কোনও চা বাগানে তাঁবু খাটিয়ে থাকার কথা চা শ্রমিক নেতাদের। অনেকটা ‘নব জাগরণ’ কর্মসূচির আদলে সাজানো হয়েছে চা শ্রমিকদের কর্মসূচিকে। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়ির ক্রান্তিতে পৌঁছে কর্মসূচি শেষ হবে। আগামী ১ মার্চ আলিপুরদুয়ারে চা শ্রমিকদের নিয়ে সভা করবে তৃণমূল। সেখানে রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের থাকার কথা। লোকসভা ভোটে চা বলয়ে ‘ঘাসফুল ফোটাতে’ এই কর্মসূচি। তৃণমূলের অন্দরের খবর, ডুয়ার্সের চা বলয়ে এখনও দলের রিপোর্ট যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নয়।
গত পঞ্চায়েত ভোট এবং ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে চা বলয়ে ভোট বেড়েছিল তৃণমূলের। যদিও দলের অন্দরের একটি সূত্রের দাবি, গত পঞ্চায়েত ভোটে নানা অভিযোগ উঠেছিল। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে চা বলয়ের ভোট পড়ার শতাংশ যথেষ্ট কম ছিল। সে হিসাবে গত বিধানসভার ফলাফল বিশ্লেষণ করলে, চা বলয়ে বিজেপির থেকে পিছিয়েই রয়েছে তৃণমূল। গত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বার বার চা বলয়ে নজর দিয়েছে তৃণমূল।
দলের তরফে চা বলয়ে তৃণমূলের একটিই সংগঠন থাকবে বলে নির্দেশিকা দেওয়ার পরেও, তৃণমূলের নাম দিয়ে একাধিক সংগঠন রয়েছে। সে সংগঠনগুলির ‘দ্বন্দ্ব’ ভোটেও প্রভাব ফেলে। সে সব মাথায় নিয়েই বাগানে-বাগানে পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তপন দে বলেন, “পদযাত্রায় আমরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা শ্রমিকদের জন্য যে প্রকল্পগুলি ঘোষণা করেছেন, সেগুলি সকলকে জানানো হবে। চা শ্রমিকদের জমি পাট্টা দেওয়ার প্রসঙ্গটিও তুলে ধরা হবে।”
প্রশাসনিক ভাবেও ‘চা সুন্দরী’ তথা শ্রমিকদের জমির পাট্টা বিলির কাজে যুদ্ধকালের তৎপরতা রয়েছে। জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার—দুই জেলাতেই চা বাগানে জমির সমীক্ষা শেষ করে দ্রুত শ্রমিকদের জমি এবং বাড়ি তৈরির এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়েছে। ভোটের আগে, ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কিছু আবাসনের উদ্বোধনও হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।