Mamata Banerjee-Suvendu Adhikari

‘গদ্দারদের জায়গায়’ ছিল জঙ্গিরা, মমতার মন্তব্যে পাল্টা শুভেন্দুর

কাঁথির বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর পাল্টা বক্তব্য, “আমরা জেলায় রাজনীতি করি ঠিকই। কিন্তু সুরক্ষার ভার পুলিশ-প্রশাসনের। হাস্যকর অভিযোগের জবাব হয় না!”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:০০
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

বেঙ্গালুরুর কাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি ধরার পড়ার পরে অধিকারী পরিবারের দিকে আঙুল তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এ বার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করলেন, ওই দু’জন ধরা পড়েছে ‘গদ্দারদের জায়গা’ থেকে। তিনি নাম না করলেও ‘গদ্দার’ শব্দে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধে থাকেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই শুভেন্দু মেদিনীপুরে জন্ম নেওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামী-সহ নানা কৃতী ব্যক্তিত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পাল্টা সরব হয়েছেন।

Advertisement

ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির জাবরাভিটায় সভা থেকে বাংলাকে দেশের মধ্যে নিরাপদতম স্থান আখ্যা দিয়ে শনিবার মমতা মন্তব্য করেছেন, “বেঙ্গালুরুতে একটা ঘটনা ঘটল। ওদের ফড়েটা বলে দিল, বাংলা নিরাপদতম জায়গা নয়। ভুলে গিয়েছে, বেঙ্গালুরু আর বেঙ্গল আলাদা রাজ্য। ওদের বাড়ি কর্নাটকে। দু’ঘণ্টার জন্য মেদিনীপুরে ছিল, গদ্দারদের জায়গায়! আমাদের পুলিশ দু’ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে।” রাজনৈতিক শিবিরের মতে, ‘ফড়ে’ বলতে মমতা বিজেপি নেতা অমিত মালবীয়ের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই এক্স হ্যান্ডলে সরব হয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, “টালি নালার তীরে বসবাসকারী কেউ অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার মানুষের অবদান বুঝতে পারবেন না! মেদিনীপুরের মানুষ প্রকৃত দেশপ্রেমিক। মেদিনীপুরের মানুষের শিরায় শিরায় জাতীয়তাবাদ প্রবাহিত।” তাঁর সংযোজন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মেদিনীপুর কী, তা নিয়ে আপনার কোনও ধারণা নেই। মেদিনীপুরের পবিত্র-ভূমিতে যাঁরা জন্ম নিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্কে আপনার কিছুই জানা নেই।” ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরাম বসু, মাতঙ্গিনী হাজরা, বীরেন্দ্রনাথ শাসমল, সুশীলকুমার ধাড়া-সহ বাংলার বহু কৃতী ব্যক্তিত্বের জন্মস্থান যে মেদিনীপুর, তা-ও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে, ২০২১-এ তাঁর কাছে নন্দীগ্রামে হারের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু ফের বিঁধেছেন মমতাকে। বলেছেন, “আমি জানি, আপনি মেদিনীপুরকে ঘৃণা করেন। কারণ, নন্দীগ্রামে হেরেছেন। আপনি ভুলে গিয়েছেন, মেদিনীপুরের মানুষ নন্দীগ্রামে প্রাণ দিয়েছিলেন বলেই আপনি আজ যা, সেটা হয়েছেন!”

Advertisement

সেই সঙ্গে এ দিন ফের বিষয়টিকে সামনে রেখে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও প্রশ্ন তুলেছেন, “কাঁথিতে কোন পরিবার প্রভাবশালী? তৃণমূলে থাকাকালীন তাঁরা পূর্ব মেদিনীপুর নিয়ন্ত্রণ করতেন। এখন বিজেপিতে গিয়েও ওঁরা সর্বেসর্বা। কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানদের নিয়ে ঘুরে
বেড়ান। ওঁদেরও তদন্তের আওতায় আনা উচিত।”

কাঁথির বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর পাল্টা বক্তব্য, “আমরা জেলায় রাজনীতি করি ঠিকই। কিন্তু সুরক্ষার ভার পুলিশ-প্রশাসনের। হাস্যকর অভিযোগের জবাব হয় না!”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement