শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল ছবি।
‘‘আপনারা কি আনন্দ বর্মণকে ভুলে গিয়েছেন? নেবেন না তাঁর মৃত্যুর বদলা?’’ সোমবার কোচবিহারের শীতলখুচিতে সভা করে এমন প্রশ্নই উসকে দিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।
২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচনের দিন পাঠানটুলিতে তাঁর নিজের বুথে আনন্দকে গুলি করে মেরেছিল দুষ্কৃতীরা। সে প্রসঙ্গই টেনে আনেন শুভেন্দু। শুধু তা-ই নয়, কালিয়াগঞ্জের মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের কথাও তোলেন তিনি। তাঁকেও গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও শীতলখুচিতেই ভোটের লাইনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যুর প্রসঙ্গ কেন শোনা গেল না তাঁর মুখে, সে প্রশ্নে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
শুভেন্দু বলেন, ‘‘আপনারা কি আনন্দ বর্মণকে ভুলে গিয়েছেন? মৃত্যুঞ্জয় বর্মণ কালিয়াগঞ্জের যুবক, তাঁকে গুলি করে মেরেছিল। আপনারা ভুলে যাননি। আপনারা কোচবিহারে আবার নিশীথ প্রামাণিককে জয়ী করুন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নিশীথ প্রামাণিক এক জন সফল রাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজবংশী যুবক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রতিনিধি হয়ে গোটা দেশে ঘুরে বেড়ান। গর্বে বুক ফুলে যায়।’’ তার পরে যোগ করেন, ‘‘২০১৯-এ মাত্র পনেরো দিনের প্রস্তুতি ছিল। তাতেই মার্জিন হয়েছিল ৫৪ হাজার। এ বার আড়াই মাসের প্রস্তুতি। দেড় লক্ষ পেরোবে তো?”
তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় পাল্টা বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীরা রাজবংশীদের আবেগ নিয়ে খেলার চেষ্টা করেছেন। অথচ, গত পাঁচ বছরে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার কোনওটি পূরণ করেননি। গীতালদহে বিএসএফের গুলিতে যখন নিরীহ যুবক প্রেমকুমার বর্মণ নিহত হলেন, তা নিয়ে বিজেপির মুখে কথা নেই। আনন্দ বর্মণের পরিবারের পাশে আমাদের সরকার দাঁড়িয়েছে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী যেখানে বৈঠক করলেন, তার কাছেই বিধানসভা ভোটের সময়ে চার জন নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে সিআইএসএফ। সে কথা উনি মুখেও আনলেন না।”
এ দিন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা নগেন্দ্র রায় ওরফে অনন্ত মহারাজের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, “স্বাধীনতার পরে, আমরা প্রথম একটি রাজ্যসভার আসন আমরা পেয়েছিলাম। উত্তরবঙ্গে দিয়েছি। অনন্ত মহারাজকে দিয়েছি।’’ কোচবিহারের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন। এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার।