রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র ।
এক জন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। অন্য জন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে ‘পদ্মঝড়’ তুলতে প্রচারে নেমেছেন তাঁরা। একের পর এক জনসভায় যোগ দিচ্ছেন, রোড-শো করছেন, রাস্তায় হাঁটছেন। তবে আলাদা আলাদা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় দু’জনকে একই মঞ্চে উপস্থিত থাকতে দেখা গেলেও একসঙ্গে কোনও প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামতে দেখা যায়নি দু’জনকে। ব্যতিক্রম হচ্ছে বৃহস্পতিবার। সব কিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবারই চণ্ডীপুরে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী তথা অধিকারী পরিবারের কনিষ্ঠ পুত্রের সমর্থনে একসঙ্গে রোড-শো করবেন শুভেন্দু-সুকান্ত জুটি। তার আগে দুপুর দেড়টা নাগাদ শুভেন্দুর কাঁথির বাসভবন শান্তিকুঞ্জে যাবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। মধ্যাহ্নভোজ সেখানেই সারবেন। এর পরেই সুকান্ত চলে যাবেন কাঁথি লোকসভার অন্তর্গত দারুয়ায়। সেখানে জনসভা করে চলে যাবেন চণ্ডীপুরে। রোড-শো করবেন বিকাল পাঁচটা থেকে। সেই রোড-শোয়ে থাকবেন শুভেন্দুও।
উল্লেখ্য, বুধবারই কাঁথিতে গিয়ে শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌমেন্দুর হয়ে প্রচার করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই মঞ্চ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর লড়াইকে কুর্নিশ জানান তিনি। সেই মঞ্চে ছিলেন সুকান্ত। ছিলেন শিশির অধিকারীও। এর আগে মোদীকেও রাজ্যের পদ্মপ্রার্থীদের হয়ে প্রচারে এসে শুভেন্দুর প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছিল। বার বার সুকান্তের প্রশংসাও উঠে এসেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মুখে। এ বার বিজেপির সেই দুই রাজ্য নেতা লোকসভা নির্বাচনে একযোগে প্রচারে নামছেন শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দুর হয়ে।
রাজ্য বিজেপির দুই মুখ একসঙ্গে প্রচারে আসছেন শুনে ইতিমধ্যেই খুশির ঢেউ কাঁথি কেন্দ্রের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। তাই এই রোড-শোতে কোনও খামতি রাখতে রাজি নন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে শুভেন্দু এবং সুকান্তকে একসঙ্গে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল দিল্লিতে। লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সামনে এ রাজ্যের সন্দেশখালির ‘ভয়াবহতা’ তুলে ধরেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিপ্রা হস্টেলের হলঘরে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে বক্তৃতা করেছিলেন সুকান্ত ও শুভেন্দু।