নীলেশ কুম্ভানি। —ফাইল চিত্র।
সুরতে লোকসভা ভোটের প্রথম আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে বিজেপি। তার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই নিখোঁজ সুরতের কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানি।
গুজরাতে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি সুরত। সেই সুরতেরই কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে গত বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল নিজের মনোনয়ন জমা দেন নীলেশ। কিন্তু রবিবার সেই মনোনয়নপত্রটি খারিজ হয়ে যায়। বিজেপি অভিযোগ করেছিল, নীলেশ তাঁর মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকদের নকল স্বাক্ষর ব্যবহার করছেন। পরে নীলেশের প্রস্তাবকেরাও জানান, ওই স্বাক্ষর তাঁদের নয়। ফলে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে বাতিল করে দেওয়া হয় নীলেশের মনোনয়ন। পরে দেখা যায়, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন, সোমবার একে একে সুরতের অন্যান্য দলের প্রার্থীরাও মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। এর ফলে ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যান সুরতের বিজেপির প্রার্থী মুকেশ দালাল। তার পর থেকেই নিখোঁজ নীলেশ।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস জানিয়েছে, পুরো বিষয়টির নেপথ্যে বিজেপির প্রভাব খাটানোর একটি ‘স্পষ্ট’ আর ‘চেনা’ নকশা দেখতে পাচ্ছে তারা। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস, বিজেপিই নীলেশের প্রস্তাবকদের ‘প্রভাবিত’ করেছে। তা না হলে একই দিনে চার জন প্রস্তাবক হঠাৎ সই নকল করা নিয়ে একই অভিযোগ তুলছেন— এটা কাকতালীয় হতে পারে না।
এই ঘটনার পর থকেই নীলেশের দেখা পাওয়া তো দূর, তাঁকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। অদ্ভুত ভাবে সুইচ্ড অফ রয়েছে তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের ফোন। এই পরিস্থিতিতে সুরতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে, নীলেশ হয়তো কংগ্রেসের হাত ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন। এই সব কিছু আদতে তারই পূর্বাভাস। ফলে সুরতে নীলেশের বাড়ির সামনে ‘জনতা কা গদ্দার’ লেখা পোস্টার নিয়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
অন্য দিকে, কংগ্রেস গোটা বিষয়টি নিয়ে দ্বারস্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশনের। তাদের অভিযোগ, গোটা ঘটনাটিই নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে করিয়েছে বিজেপি। কমিশনে কংগ্রেস আর্জি জানিয়েছে, সুরতের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হোক এবং নতুন করে তার আয়োজন করা হোক। যাতে বিজেপি বুঝতে পারে এই ধরনের বেআইনি ভাবে এই ধরনের প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচনে জেতা যায় না।