Lok Sabha Election 2024

আইএসএফ প্রার্থীর এমআইএম-যোগ চর্চা উলুবেড়িয়ায়

মফিকুল ওই দাবি করলেও তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেস তাঁকে বিঁধতে ছাড়ছে না। তাঁরা আইএসএফ-বিজেপি ‘সমঝোতা’র গন্ধ পাচ্ছে।

Advertisement

নুরুল আবসার

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৩০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কর্মী-বৈঠক চললেও এখনও পথে প্রচারে নামেননি উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের আইএসএফ প্রার্থী মফিকুল ইসলাম। তাঁর ‘এমআইএম যোগ’ নিয়ে নানা চর্চা চলছে বিরোধী দলগুলির মধ্যে। দলীয় কর্মীদের একাংশও ক্ষুব্ধ। বিষয়টি সমাজমাধ্যমেও এসেছে। মফিকুল মানছেন, এক সময়ে এমআইএম-এর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। কিন্তু এখন নেই বলে তাঁর দাবি।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের বাসিন্দা মফিকুল এখন থাকেন কলকাতায়। তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ নিয়ে শিক্ষকতা করেন। তাঁকে আইএসএফ উলুবেড়িয়ায় প্রার্থী করার পরে এই এলাকার দলীয় কর্মীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মফিকুলের ‘এমআইএম যোগ’ নিয়ে ২০২২ সালের 8 অগস্টের একটি চিঠিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এমআইএম-এর সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এ রাজ্যে দল কী ভাবে চলবে, সে জন্য গঠিত একটি কোর কমিটির সদস্য করেছেন মফিকুলকে। চিঠিতে স্বাক্ষরও করেছেন ওয়াইসি।

মফিকুল বলেন, ‘‘আমি এক সময়ে এমআইএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম ঠিকই। তবে এখন আইএসএফের সর্বক্ষণের কর্মী। এমআইএম এখন আমার কাছে অতীত।’’ ওই চিঠি প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘আমাকে এমআইএমের ওই তথাকথিত কোর কমিটির সদস্য করা হয়েছিল আমার সম্মতি না নিয়েই। আমাকে কোনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপেই ওই চিঠি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই চিঠির কোনও গুরুত্ব আমার কাছে ছিল না। এখনও নেই।’’

Advertisement

মফিকুল ওই দাবি করলেও তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেস তাঁকে বিঁধতে ছাড়ছে না। তাঁরা আইএসএফ-বিজেপি ‘সমঝোতা’র গন্ধ পাচ্ছে। তৃণমূলের গ্রামীণ জেলা সভাপতি অরুণাভ সেন বলেন, ‘‘সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসাতে বিজেপি দেশের অন্য অংশে এমআইএম-কে দাবার বোড়ে হিসাবে ব্যবহার করছে। এ রাজ্যে বিজেপির বোড়ে আইএসএফ। এমআইএম এবং আইএসএফ একই মুদ্রার দুই পিঠ। এ রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটাররা সচেতন। তাঁরা এমআইএম বা আইএসএফকে প্রত্যাখ্যান করে বিজেপির চাল ভেস্তে দেবেন।’’

উলুবেড়িয়ায় কংগ্রেস প্রার্থী আজহার মল্লিক সরাসরি আইএসএফকে ‘বিজেপির এজেন্ট’ বলে কটাক্ষ করেছেন। এ রাজ্যে আইএসএফের সঙ্গে আসন সমঝোতায় যে দল সবচেয়ে বেশি আগ্রহী ছিল, সেই সিপিএমের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, উলুবেড়িয়ার আইএসএফ প্রার্থীর সঙ্গে এমআইএমের সঙ্গে যোগ আছে। দলের জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আইএসএফের নিজের শক্তিতে লড়াই করার ক্ষমতা নেই। তাই এমআইএমের লোককে প্রার্থী করতে হচ্ছে। এতে বিজেপির সুবিধা হবে। সেই কারণে আমরা উলুবেড়িয়ায় আইএসএফের নিচুতলার কর্মীদের কাছে আবেদন করছি, যাতে তাঁরা বিজেপি ও তৃণমূলকে হটাতে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থীকে ভোট দেন।’’ প্রসঙ্গত, এর আগে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছিলেন, ‘‘মালদহ ও মুর্শিদাবাদে এমআইএম থেকে আসা লোকজন আইএসএফের প্রার্থী হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে দেখেছি।’’

বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, তাদের কারও সহযোগিতা দরকার নেই। দলের গ্রামীণ জেলার এক নেতা বলেন, "আমাদের এমন খারাপ অবস্থা হয়নি যে আইএসএফের পরোক্ষ সহযোগিতা নিয়ে লড়াই করতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement