Lok Sabha Election 2024

ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট নিয়ে এ বারে লোকসভা ভোটে বিশেষ প্রশিক্ষণ ভোটকর্মীদের

ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার ও ফার্স্ট পোলিং অফিসারদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট সামাল দিতে তাঁদের কোনও অসুবিধা না হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৪ ১৬:৩৮
Share:

এ বারে লোকসভা ভোটে ভোটকর্মীদের নিয়ে বিশেষ ভাবনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। —ফাইল চিত্র।

এ বারে লোকসভা ভোটে ভোটকর্মীদের নিয়ে বিশেষ ভাবনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। প্রায়শই নতুন প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি ঘটছে দেশের ভোট প্রক্রিয়ায়। সেই অনুযায়ী ভোট পরিচালনায় ভোটকর্মীদের সড়গড় করতে তিন ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ বার ইভিএম ও ভিভিপ্যাট নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে কমিশন।

Advertisement

ইভিএমের ভোটে কারচুপি অভিযোগ ওঠে প্রায়শই। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বার বার ইভিএম তুলে দিয়ে আবারও পুরনো ব্যালেটেই ভোট প্রক্রিয়া পরিচালনার পক্ষপাতী। সেই অভিযোগের জবাব হিসাবেই ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে আংশিক লোকসভা এলাকায় ভিভিপ্যাট চালু হয়েছে। যাতে ভোটার কাকে ভোট দিচ্ছেন, সেই বিষয়ে ভোটকেন্দ্রেই নিশ্চিত হতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের লোকসভা ভোটে সব বুথেই ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট ছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে সেই ভোটে ভিভিপ্যাট নিয়ে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু এ বার ভোটকর্মীদের ইভিএমের সঙ্গে যুক্ত ভিভিপ্যাট নিয়ে এক বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার ও ফার্স্ট পোলিং অফিসারদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট সামাল দিতে তাঁদের কোনও অসুবিধা না হয়। কোনও ক্ষেত্রে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট কাজ না করলে কি করণীয়, তা-ও প্রশিক্ষণে শেখানো হবে। ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে ৬ এপ্রিল থেকে। তার পর ধাপে ধাপে ভোটগ্রহণের দিন অনুযায়ী জেলায় জেলায় শিবির করে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর এই প্রশিক্ষণ শিবিরগুলির জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীন স্কুলগুলিতে সামেটিভ পরীক্ষার সূচি পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে বলেই কমিশন সূত্রে খবর। এ প্রসঙ্গে ভোটকর্মী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রিসাইডিং অফিসার ও ফার্স্ট পোলিং অফিসারদের ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের স্পেশ্যাল ট্রেনিং দেওয়ার প্রয়োজন ছিল, এবং সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন জেলায় ট্রেনিংয়ের যে শিডিউল রয়েছে, তাতে অধিকাংশ স্কুলকে প্রথম সামেটিভ পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হবে। এটা না হলেই ভাল হত।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement