— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আর ঠিক এক মাস বাদে, লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট গ্রহণ হবে কলকাতায়। এর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ৭ মে। সূত্রের খবর, ওই দিন থেকেই চালু হয়ে যাবে ‘স্ট্যাটিক সার্ভিলেন্স টিম’ বা এসএসটি-র নজরদারি। তবে, এ বার সিসি ক্যামেরার নজরবন্দি এলাকাগুলিতেই হবে এসএসটি-র চেকিং পয়েন্ট বা তল্লাশি স্থল। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, শহরের মোট ৮১টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ওই তল্লাশি চালানো হবে, যেখানে সিসি ক্যামেরার নজরদারি রয়েছে। সেখানে সন্দেহজনক কোনও মানুষ বা গাড়ি দেখলেই দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানো হবে। সূত্রের খবর, জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের (উত্তর) অধীনে ২৯টি দল, জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের (দক্ষিণ) অধীনে ২১টি দল এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের অধীনে ৩১টি দল এই তল্লাশি চালাবে।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, তল্লাশি চালানোর প্রতিটি দলে থাকবেন পুলিশের এক জন করে অফিসার। সঙ্গে থাকবেন দুই থেকে তিন জন পুলিশকর্মী। এ ছাড়া, সিভিল সেক্টর থেকে থাকবেন এক জন ম্যাজিস্ট্রেট ও এক জন চিত্রগ্রাহক। প্রয়োজনে তাঁদের সাহায্য করবে স্থানীয় থানা। শেষ দফার ভোট গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া মাত্রই ওই দল কাজ শুরু করবে। পুলিশের এক কর্তা জানান, এসএসটি দলের গোটা তল্লাশি-পর্ব যাতে সিসি
ক্যামেরায় বন্দি থাকে, সে ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। ওই সমস্ত চেকিং পয়েন্ট ছাড়াও পুলিশের তরফে নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় নাকা-তল্লাশিও চালানো হবে বলে খবর।
ভাঙড় কলকাতা পুলিশের অধীনে চলে আসায় এ বার পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট সামলাতে হবে লালবাজারকে। উত্তর কলকাতা এবং দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের পুরোটাই রয়েছে কলকাতা পুলিশ এলাকায়। আবার যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার ও জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের খানিকটা করে অংশ রয়েছে কলকাতা পুলিশ এলাকায়। কলকাতা পুলিশ এলাকার এই পাঁচটি কেন্দ্রের মোট বুথের সংখ্যা ৫১৫৮। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৯৪০। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, সমস্ত বুথ এবং ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুথের বাইরে লাইন ঠিক করার জন্য কলকাতা পুলিশের এক জন করে কর্মীর থাকার কথা।
মঙ্গলবার এক পুলিশকর্তা জানান, কলকাতার জন্য কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আগামী সপ্তাহে তা চূড়ান্ত হওয়ার কথা। বর্তমানে কলকাতা পুলিশ এলাকায় টহল দেওয়ার জন্য রয়েছে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।