সনিয়া গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং রঘুরাম রাজন। —ফাইল চিত্র।
প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা কি হিমাচল প্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় আসবেন? রঘুরাম রাজনকে কি মহারাষ্ট্র থেকে কংগ্রেস রাজ্যসভায় পাঠাবে? পশ্চিমবঙ্গ থেকে আর রাজ্যসভায় জিতে আসার সম্ভাবনা নেই বলে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি কি এ বার রাজস্থান থেকে জিতে আসতে পারেন?
রাজ্যসভার ৫৬টি আসনে নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে। ১৫টি রাজ্যের এই ৫৬টি আসনে কংগ্রেস মোট ৯টি আসন জেতার মতো অবস্থায় রয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে কে কতগুলি আসনে লড়ে জিতে আসতে পারবেন, তা নিয়ে অনেক কংগ্রেস নেতাই নিশ্চিত নন। তাই রাজ্যসভার আসনের জন্যই ঝাঁপাচ্ছেন সবাই। কংগ্রেস সূত্রের খবর, ৯টি আসনের জন্য অন্তত একডজন নেতা চেষ্টা করছেন। গান্ধী পরিবারের কেউ প্রার্থী হলে সব রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বই ‘আগে কেবা প্রাণ করিবেক দান’ অবস্থানে রয়েছেন। কিন্তু বাকিদের জন্য প্রবল প্রতিযোগিতা।
রাজ্যসভার যে ৯টি আসন কংগ্রেস জিততে পারে, তার মধ্যে কংগ্রেস-শাসিত হিমাচলের একটি আসন রয়েছে। বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু হিমাচলের বিধানসভার সমীকরণের নিরিখে বিজেপির পক্ষে নড্ডাকে হিমাচল থেকে জিতিয়ে আনা সম্ভব নয়। হিমাচলের প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী প্রতিভা সিংহ জানিয়েছেন, সনিয়া গান্ধী বা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা হিমাচল থেকে রাজ্যসভায় যেতে চাইলে তাঁরা স্বাগত জানাবেন। কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, হিমাচলের শিমলায় প্রিয়ঙ্কার বাড়িও রয়েছে।সনিয়া গান্ধীর আগামী লোকসভার ফের রায়বরেলী থেকে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সেখানে প্রিয়ঙ্কা প্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। সে ক্ষেত্রে সনিয়াকে রাজ্যসভায় নিয়ে আসা হতে পারে। কর্নাটক, তেলঙ্গানা দুই কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের নেতারাই জানিয়েছেন, সনিয়া-প্রিয়ঙ্কা চাইলে তাঁদের রাজ্য থেকে লোকসভায় প্রার্থী হতে পারেন। বা রাজ্যসভায় যেতে পারেন। তেলঙ্গানার ২টি ও কর্নাটকের তিনটি রাজ্যসভা আসন কংগ্রেস জিতবে। মহারাষ্ট্র থেকে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পওয়ারের সমর্থন নিয়ে রাজ্যসভায় যেতে পারেন বলে প্রবল জল্পনা চলছে।
রাজস্থানে কংগ্রেস রাজ্যসভার একটি আসনে জিতবে। আইনজীবী নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস-তৃণমূল আসন সমঝোতা হলে তৃণমূল মনু সিঙ্ঘভিকে একটি রাজ্যসভার আসন ছেড়ে দিতে পারত। এখন সেই সম্ভাবনা কম। ফলে তাঁকে রাজস্থান থেকে জিতিয়ে আনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এর সঙ্গে ইউপিএ সরকারের এক মন্ত্রী, কংগ্রেসের এক মহিলা নেত্রীও দৌড়ে রয়েছেন বলে সূত্রের খবর।