প্রার্থী ঘোষণার আগেই দেওয়াল লিখন তৃণমূলের। —নিজস্ব চিত্র।
প্রার্থী ঘোষণা হতেই দেওয়াল লিখন থেকে জনসংযোগে জোর দিয়েছেন বিজেপির উত্তর ও দক্ষিণ মালদহের দুই প্রার্থীই। প্রচারে বিজেপিকে টেক্কা দিতে প্রার্থীর নাম ছাড়াই সোমবার, জেলার একাধিক এলাকায় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা দেওয়াল লেখেন। ‘জনগর্জন’ কর্মসূচি সামনে রেখে ব্লক স্তরে প্রচারও শুরু করেছে তৃণমূল।
তবে ভোটের প্রার্থী নিয়ে দ্বিধায় তৃণমূলেরই কর্মী-সমর্থকদের একটা বড় অংশ। তাঁদের দাবি, ২০১৪ সালে দক্ষিণ মালদহে চিকিৎসক মোয়াজ্জেম হোসেন এবং উত্তর মালদহে গায়ক সৌমিত্র রায়কে প্রার্থী করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে দক্ষিণে মোয়াজ্জেম এবং উত্তরে সে সময় কংগ্রেস থেকে আসা মৌসম নুরকে প্রার্থী করা হয়েছিল। তার পরেও জেলায় লোকসভা আসন অধরা। এ বার প্রার্থী নিয়ে দুই কেন্দ্রেই চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলে। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, উত্তর মালদহের প্রার্থী-পদ নিয়ে দলের জেলার দুই ওজনদার নেতা-নেত্রীর কার্যত ‘স্নায়ুযুদ্ধ’ শুরু হয়েছে। উত্তর মালদহ জুড়ে লাগাতার দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন নেত্রী। জেলার নেতাও টিকিটের জন্য যোগাযোগ বাড়িয়েছেন কলকাতায়। প্রভাব পড়েছে দলের কর্মসূচিতেও। এরই মধ্যে, বিজেপি গত লোকসভা ভোটের দুই প্রার্থীকে এ বারও প্রার্থী করেছে। বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীরা প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন। সেখানে বর্তমানে দেওয়াল লিখনও শুরু হয়েছে।
বিজেপিকে প্রচারে টেক্কা দিতে তৃণমূল দেওয়াল ‘দখল’ শুরু করেছে। এ দিন পুরাতন মালদহে দেওয়াল লেখেন পুরপ্রধান কার্তিক ঘোষ, উপ-পুরপ্রধান সফিকুল ইসলাম। কার্তিক বলেন, “প্রার্থী কে হবেন, তা রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করবেন। আমরা, দলের কর্মীরা প্রার্থী ঘোষণার অপেক্ষায় না-থেকে দলীয় প্রতীক এঁকে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছি।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, “সময়ের মধ্যেই দল প্রার্থী ঘোষণা করবে। তবে, আমাদের দলীয় কর্মসূচি চলছেই। মানুষ আবাস, ১০০ দিনের প্রকল্পের বঞ্চনার জবাব বিজেপিকে দেবেন।” পাল্টা, উত্তর মালদহের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু বলেন, “মানুষ জবাব কাকে দেবেন, তা ভোটের ফলেই স্পষ্ট হবে।”