(বাঁ দিকে) রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিদ্ধান্ত মহাপাত্র । — ফাইল চিত্র।
হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্বামী প্রাক্তন সাংসদ সিদ্ধান্ত মহাপাত্র যোগ দিলেন বিজেপিতে। ওড়িয়া সিনেমার জনপ্রিয় এই নায়ক বিজু জনতা দল (বিজেডি)-এর সদস্য ছিলেন। বিজেডির টিকিটে সাংসদও হয়েছিলেন। লোকসভা ভোটের আগে যোগ দিলেন বিজেপিতে। বিজেপি সূত্রে খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করা হতে পারে।
২০০৯ সালে ওড়িশার ব্রহ্মপুর লোকসভা আসনে বিজেডির টিকিটে জয়লাভ করেছিলেন সিদ্ধান্ত। ২০১৪ সালেও ওই আসন থেকেই জিতেছিলেন তিনি। যদিও ২০১৯ সালে ওই আসনে আর প্রার্থী হননি সিদ্ধান্ত। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপির দফতরে গিয়ে দলে যোগ দেন ওড়িয়া সিনেমার ‘মুন্নাভাই’।
সিদ্ধান্ত ওড়িয়া ছবির সুপারস্টার। ২০০০ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত টানা রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। বাংলার পাশাপাশি ওড়িয়া ছবিতে অভিনয় করেছেন রচনাও। সে সময়ই সিদ্ধান্তের সঙ্গে রচনার পরিচয়। দু’জনে জুটি বেঁধে বহু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। সাফল্যও পেয়েছিল সে সব ছবি। ক্রমে সিনেমার পাশাপাশি বাস্তবেও জুটি বেঁধেছিলেন রচনা এবং সিদ্ধান্ত। গোপনে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। যদিও বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। সূত্রের খবর, সিদ্ধান্তের পরিবার রচনাকে মেনে নেয়নি বলেই বিচ্ছেদ।
সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের সঙ্গে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত
পরে রচনা প্রবাল বসুকে বিয়ে করেন। ২০১৬ সাল থেকে এক ছাদের নীচে থাকেন না রচনা এবং প্রবাল। এই দম্পতির একমাত্র ছেলে প্রণীল বসু। হুগলিতে বিজেপির বিদায়ী সাংসদ লকেটের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন রচনা। প্রচারে রোজই একহাত নিচ্ছেন বিজেপিকে। মন্তব্যের কারণে জড়াচ্ছেন বিতর্কে। এই আবহে তাঁর প্রাক্তন স্বামী বিজেডি ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে।
বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্তের সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বিজেডির ছ’বারের সাংসদ ভর্তৃহরি মাহতাব। কটক থেকে ছ’বার সাংসদ হয়েছেন তিনি। নবীন পট্টনায়েক জনতা দল ছেড়ে বিজেডি গড়ার সময় থেকেই তাঁর সহযোগী ছিলেন ভর্তৃহরি। ভোটের মুখে তাঁর এবং সিদ্ধান্তের দল ছাড়া নবীনের পক্ষে বড় ধাক্কা বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন। সিদ্ধান্তকে কোন আসনে প্রার্থী করা হতে পারে, তা নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি বিজেপি নেতৃত্ব।