মতুয়া অধ্যুষিত রাজ্যের তিনটি আসনে ‘স্বাধীন’ প্রার্থী দিচ্ছে মতুয়াদের সংগঠন ‘শান্তিহরি মতুয়া ফাউন্ডেশন’। —ফাইল চিত্র।
মতুয়া অধ্যুষিত রাজ্যের তিনটি আসনে ‘স্বাধীন’ প্রার্থী দিচ্ছে মতুয়াদের সংগঠন ‘শান্তিহরি মতুয়া ফাউন্ডেশন’। বুধবারই সাংবাদিক বৈঠক করে সেই ঘোষণা করতে চলেছে তারা। বনগাঁ, কৃষ্ণনগর এবং বারাসতে প্রার্থী দেওয়া হবে সংগঠনের তরফে।
প্রাথমিক ভাবে এই সংগঠনের নেতারা ঠিক করেছিলেন বনগাঁ, বারাসতের সঙ্গে বর্ধমান পূর্বে প্রার্থী দেবেন। কিন্তু নেতৃত্বের তরফে বলা হয়েছে, যাঁকে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করার কথা ভাবা হয়েছিল, তিনি বেশ অসুস্থ। তাই ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। তার বদলে কৃষ্ণনগরে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উদ্যোক্তাদের অন্যতম দেবব্রত রায় বলেন, ‘‘সিপিএম জমানার শেষ থেকে মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়। তার পর তৃণমূল এবং বিজেপি তা করে চলেছে। কিন্তু আসল যাঁরা ভক্ত, তাঁরা যে তিমিরে ছিলেন, সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছেন। তাই আমরা চেয়েছি আমাদের প্রার্থী জিতুন।’’
বাম জমানার শেষ দিকে মতুয়াদের সঙ্গে সমন্বয় রাখতেন সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। পরে বড়মা বীণাপাণিদেবীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অনেকে বলেন, যার নেপথ্যে ছিলেন বর্তমানে জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট থেকেই মতুয়াভূমে শক্ত জমি তৈরি করে বিজেপি। সে বার মতুয়া ভোটের আধিক্য থাকা বনগাঁ এবং রানাঘাটে জয়ী হয় বিজেপি।
যে তিন আসনে শান্তিহরি মতুয়া ফাউন্ডেশন প্রার্থী দিচ্ছে, সেই আসনগুলিতে মতুয়াদের ভোট রয়েছে। কৃষ্ণনগর এবং বনগাঁর একাংশে সেই ভোট নির্ণায়ক বলেও দাবি রাজনৈতিক মহলের অনেকের। সেই প্রেক্ষাপটে স্বাধীন প্রার্থীরা কতটা ভোট কাটতে পারবেন, তাতে কার যাত্রা ভঙ্গ হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।