সুলতানপুরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে শঙ্কর। —নিজস্ব চিত্র।
এতদিন কোথাও একটা যেন ফাঁক ছিল। তবে এবার স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে দেবের সমর্থনে প্রচারে পথে নেমে পড়লেন ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলই। তাও আবার ঘাটালের উত্তর অংশ থেকে। যা কিছুটা হলেও গেরুয়া শিবিরের শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত। ঘাটালে দেবের প্রচার শুরু হয়েছে বেশ কিছু দিন হল। তবে তাঁর প্রথম প্রচার ছাড়া সে ভাবে দেবের সঙ্গে দেখা যায়নি শঙ্করকে। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলানোর ইঙ্গিত মিলছিল।
তৃণমূলের অন্দরের খবর, বেশ কয়েক বছর ধরে দেব ও শঙ্করের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। সম্প্রতি একের পর এক অডিয়ো ভাইরাল হতে শুরু করে। তারপরে দলীয় পদ হারান শঙ্কর। পরবর্তী পরিস্থিতিতে পদ না পেলেও ফের দলে সক্রিয় হয় তিনি। তবে দেবের প্রচারে মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি তাঁকে। ঘাটাল ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গেও আলগা সম্পর্ক রেখে চলছিলেন শঙ্কর। এর মধ্যে শঙ্করকে ফোন করেন দেব। কোলাঘাটের হোটেলে তাঁদের গোপন বৈঠকও হয়েছিল। তারপরেও বরফ গলেনি। কার্যত শঙ্করকে ছাড়াই ঘাটালে প্রচার চলছিল তৃণমূলের।
তবে সম্প্রতি ঘাটালে অভিষেকের সফরকে কেন্দ্র করে শঙ্করের সক্রিয়তা বাড়তে দেখা যায়। দলের রাজ্য নেতৃত্বও শঙ্করকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন বলে খবর। এই আবহে ঘাটাল লোকসভা কোর কমিটিতে শঙ্করকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ঘাটাল বিধানসভা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও আলোচনা শুরু হয়। এই আবহে অভিষেকের সফরের দিন দেব-শঙ্করকে কোলাকুলি করতে দেখা যায়। ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়ামে ওই কোলাকুলি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এবার প্রচারও শুরু করে দিলেন ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক।
ঘাটালে উত্তর এলাকাটি বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। সেখানে এবার বাড়তি নজর দিচ্ছে তৃণমূল। ঘাটালে অভিষেকের রোড শোয়ের আগের দিন উত্তর অংশের সুলতানপুর এলাকা থেকে কয়েকজন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। এই পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় সংগঠন গোছাতে পরিকল্পিত ভাবেই এগোতে চাইছে তৃণমূল। সুলতানপুর, খড়ার, ইড়পালা, মনসুকাকে পাখির চোখ করেই প্রচার প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। এই আবহেই ঘাটাল ব্লক সভাপতি দিলীপ মাজি-সহ ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে সখ্যতা রেখে ওই অংশে প্রচার শুরু করলেন শঙ্কর। তিনি মানছেন, “দেবের সমর্থনে পুরোদস্তুর মাঠে নেমেছি। পুরো ঘাটাল ব্লক জুড়েই প্রচার চলছে। ঘাটালের উত্তর অংশেও দলের সংগঠন আগের অবস্থায় ফিরছে। দলের প্রার্থীকে দু’লক্ষের উপরে জেতানোয় একমাত্র লক্ষ্য।” ঘাটালের ব্লক সভাপতি দিলীপ মাজির কথায়, “ঘাটালে দলের কোনও দ্বন্দ্ব নেই। আমরা সবাই দলের সৈনিক।হাতে হাত মিলিয়ে চলছে প্রচার।