— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ভোটগণনা যত এগোচ্ছে, ততই পতন হচ্ছে সেনসেক্সের। পতন হচ্ছে নিফটি সূচকেরও। মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের। মঙ্গলবার সেনসেক্সের পতন হয়েছে ৫০০০ পয়েন্ট। দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটগণনার পরিসংখ্যান বলছে, ২৯২টি লোকসভা আসনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। ইন্ডিয়া এগিয়ে ২৩৩টি আসনে। মনে করা হচ্ছে, তার প্রভাবই পড়ছে সেনসেক্সে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে সেনসেক্সের পতন হয়েছে ৬.৭১ শতাংশ। এর ফলে ৫,৬০২ পয়েন্ট পতনের পর সেনসেক্স দাঁড়িয়েছে ৭১,০০২ পয়েন্টে। অতিমারির পর থেকে এক দিনে সেনসেক্সের এতটা পতন হয়নি। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত নিফটির পতন হয়েছে ৬.৮৯ শতাংশ। প্রায় ১,৬৩৪ পয়েন্টের পতন হয়েছে। শেষ বার ২০২০ সালের মার্চে এতটা পতন হয়েছিল সেনসেক্স সূচকের। মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ ২০০০ পয়েন্ট পতন হয় সেনসেক্সের। ১১টা ১০ মিনিটে নাগাদ ৪,০০০ পয়েন্ট পতন হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় নিফটি সূচকের পতন হয় ৩.০৩ শতাংশ। তার পরে নিফটি সূচক দাঁড়ায় ২২,৫৫৭। এস অ্যান্ড পি বিএসই সূচকের পতন হয় ৩ শতাংশ। সকাল সাড়ে ৯টায় তা দাঁড়ায় ৭৪,১০৭-এ। মঙ্গলবার কেনাবেচা শুরু হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে লগ্নিকারীরা হারান প্রায় ২০ লক্ষ কোটি টাকা। সকাল ১১টা ১০ মিনিটে নিফটির পতন হয় ৫.০৭ শতাংশ।
সোমবার শেয়ার বাজার উঠেছিল নজিরবিহীন ভাবে। ৭৬ হাজারের ঘরে শেষ করেছিল দৌড়। নিফটিও নজির গড়ে ২৩ হাজারে পা রেখেছিল। উঠেছে ৭৩৩। দুই সূচকই তিন বছরের মধ্যে এক দিনে সব থেকে বেশি উত্থান দেখেছে। লগ্নিকারীরা ঘরে তুলেছিলেন ১৪ লক্ষ কোটি টাকা। লগ্নিকারী এবং বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, বুথফেরত সমীক্ষার প্রভাবেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল সেনসেক্স এবং নিফটি। বিশেষজ্ঞ কমল পারেখ দাবি করেছিলেন, ওই উত্থানের ফলে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে শেয়ার বাজার। সমীক্ষা না মিললে পতন হবে। সেই আশঙ্কাই কি সত্যি হতে চলেছে?