গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
লোকসভা ভোটের প্রচারের কাকা শরদ পওয়ারের নাম এবং ব্যবহার করতে পারবে না ভাইপো অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ নির্দেশ ঘোষণা করে অজিত গোষ্ঠীর উদ্দেশে বলেছে, ‘‘এখন আপনারা আলাদা রাজনৈতিক দল। এ বার আপনাদের নিজস্ব পরিচিতি তৈরি করতে হবে।’’
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ ঘোষণা না করা পর্যন্ত অজিত পওয়ারের গোষ্ঠীর হাতেই থাকবে ‘এনসিপি’ নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ ব্যবহারের অধিকার। এর পরেই শরদ গোষ্ঠী শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছিল, যাতে ভোটের প্রচারে এনসিপি প্রতিষ্ঠাতার নাম এবং ছবি অজিত গোষ্ঠী ব্যবহার না-করে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিতের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে ‘আসল এনসিপি’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তাদের এনসিপির নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ ব্যবহারেরও অধিকার দেওয়া হয়। শরদের গোষ্ঠীর জন্য নতুন নাম এনসিপি (শরদচন্দ্র পওয়ার) এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘তূর্য (শিঙা) বাদক ব্যক্তি’ বরাদ্দ করা হয়েছিল কমিশনের তরফে।
সেই আদেশের বিরুদ্ধে শরদ গোষ্ঠী একটি আবেদন এখন শীর্ষ আদালতের বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে তারা অভিযোগ তুলেছিল, অজিত গোষ্ঠী পশ্চিম মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় তাদের কর্মসূচিতে শরদের নাম এবং ছবি ব্যবহার করছে। বৃহস্পতিবার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে পদক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, দুই বিচারপতির বেঞ্চের ‘পরামর্শ’, নীতিগত ভাবে ‘ঘড়ি’ প্রতীকচিহ্ন ব্যবহার করা উচিত নয় অজিতগোষ্ঠীর।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২ জুলাই অজিতের বিদ্রোহের পরেই এনসিপির অন্দরের সমীকরণ বদলে গিয়েছিল। অজিত-সহ ন’জন বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কের মন্ত্রিত্ব লাভের পরে পরিষদীয় দলের অন্দরে ক্রমশ তাঁর শিবিরের পাল্লা ভারী হতে থাকে। সাংসদদের একাংশও তাঁর দিকে যান। শেষ পর্যন্ত কমিশনের নির্দেশে দলের নিয়ন্ত্রণ গিয়েছে তাঁর হাতে। কমিশনের রায়ের পরেই মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নরভেকর অজিত গোষ্ঠীকে ‘এনসিপি পরিষদীয় দল’ হিসাবে মর্যাদা দেন। তবে তিনি জানান, শরদ অনুগত বিধায়কদের পদ খারিজ করা হবে না। সুপ্রিম কোর্টও কমিশনের সিদ্ধান্তে কোনও স্থগিতেদেশ দেয়নি।