—প্রতীকী চিত্র।
এ বার লোকসভা নির্বাচনে ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতের দলীয় সদস্যদের তাঁদের নিজ নিজ এলাকায় জয়ের ব্যবধানে ঘাটতি না-রাখার জন্য হুঁশিয়ারি দিলেন উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজাও।
ক’দিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় দলীয় কর্মিসভায় গিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য এবং পুরসদস্যদের প্রায় একই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সেচমন্ত্রী তথা ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। শনিবার উদয়নারায়ণপুরের খিলা নয়াচকে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী সাজদা আহমেদের সমর্থনে এক কর্মিসভায় সমীর বলেন, "উদয়নারায়ণপুর বিধানসভার ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-উপপ্রধান, ২৪৮ জন পঞ্চায়েত সদস্য, ৪৮ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং ৪ জন জেলা পরিষদের সদস্য— আপনারা শুনে নিন, যাঁর জায়গা থেকে জয়ের ব্যবধানে ঘাটতি থাকবে, তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে।"
সমীর গ্রামীণ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান এবং উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের দলের নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক। সভায় তিনি আরও বলেন, ‘‘ভোট আসতে এখনও দেরি আছে বলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে হবে না। এখন থেকেই বুথে বুথে, মহল্লায় মহল্লায় ঘুরে দলের হয়ে প্রচারের পাশাপাশি জয়ের ব্যবধান বাড়ানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। গত লোকসভা নির্বাচনের মতো এ বারেও উলুবেড়িয়া কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভার মধ্যে জয়ের ব্যবধানের ক্ষেত্রে প্রথম হতে হবে। না হলে আমাদের লজ্জার শেষ থাকবে না।’’
সমীরের এই হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি। গ্রামীণ জেলা বিজেপি সভাপতি অরুণ উদয় পাল চৌধুরীর দাবি, ‘‘উলুবেড়িয়ায় তৃণমূল এ বারে হেরে যাবে। সেই আতঙ্কে নেতারা উল্টোপাল্টা বলছেন।’’ একই ধরনের মন্তব্য করেন সিপিএম নেতা সাবিরুদ্দিন মোল্লাও।