দেওয়াল লিখছেন সাজদা। উলুবেড়িয়ার কর্মকার পাড়ায়। ছবি: সুব্রত জানা।
তিনি দু’বারের সাংসদ। তৃতীয় বারের প্রার্থী। ভোট প্রচারে বেরিয়ে স্বামী প্রয়াত সাংসদ সুলতান আহমেদকে নিয়ে এলাকাবাসীর আবেগের উপরেই ভরসা রাখলেন সাজদা আহমেদ। মঙ্গলবার দুপুরে উলুবেড়িয়ার কর্মকারপাড়ায় বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে বেরিয়ে ছিলেন উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ।
এই লোকসভাকেন্দ্রে এখনও তৃণমূল বাদে অন্য কোনও দল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। সেই সুযোগে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে আগেভাগে নেমে পড়েছে তৃণমূল। দেওয়াল লিখনের কাজ চলছে পুরোদমে। তার মধ্যেই প্রার্থী শুরু করে দিয়েছেন জনসংযোগ।
সাজদার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সাংসদ হিসাবে এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। প্রার্থিপদ ঘোষণার পরে অবশ্য এলাকায় তাঁর সক্রিয়তা বেড়েছে। এ দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাজদা বাসিন্দাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সাজদা এলাকায় যোগাযোগ না রাখার অভিযোগ মানেননি। তিনি বলেন, ‘‘সুলতান সাহেব যেমন বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছিলেন। আমিও তেমন বাড়ি বাড়ি নলবাহিত জল পৌঁছে দেব।’’
এই আসনে ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে তৃণমূলের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন সুলতান আহমেদ। ২০১৭ সালে সুলতানের অকাল প্রয়াণের পরে ২০১৮ সালের উপ-নির্বাচনে সুলতানের স্ত্রী সাজদাকে প্রার্থী করে তৃণমূল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও প্রার্থী হন তিনি। সে
বারও তিনি জিতে যান। দু’বারেই
বিপুল ব্যবধানে তাঁর জয়ে ‘সুলতান-আবেগ’ কাজ করেছিল বলে উলুবেড়িয়ার রাজনৈতিক মহলের ধারণা। সাজদারও মত, সুলতানের কাজের ধারাই তিনি অনুসরণ করবেন। এ দিন সাজদার সঙ্গে ছিলেন উলুবেড়িয়ার পুরপ্রধান
অভয় দাস, উপ-পুরপ্রধান ইনামুর রহমান, চেয়ারম্যান পারিষদ আকবর শেখ, উলুবেড়িয়া পূর্বের বিধায়ক বিদেশ বসু প্রমুখ।