ইউসুফ পাঠান তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার পরেই তাঁকে ফোন করলেন সচিন তেন্ডুলকর। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। শাসকদল সূত্রে খবর, ইউসুফের প্রার্থিপদ ঘোষণা হওয়ার পরেই তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁর সতীর্থ সচিন তেন্ডুলকর।
রবিবার ব্রিগেড মঞ্চে প্রার্থী হিসাবে ইউসুফের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল। প্র্রার্থী হওয়ার পর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে ইউসুফ লিখেছেন, ‘‘আমি চিরকালের জন্য শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ, যিনি আমাকে তৃণমূল পরিবারে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সংসদে জনগণের কণ্ঠস্বর হওয়ার দায়িত্বে আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেছেন। জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে, দরিদ্র ও বঞ্চিতদের উন্নতি সাধন আমাদের কর্তব্য। আশা করি, আমি সেটা অর্জন করতে পারব।’’ তৃণমূল সূত্রে খবর, ব্রিগেড সমাবেশের পর ইউসুফ যখন মধ্যাহ্নভোজ সারছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার, সেই সময় তাঁকে ফোন করেন সচিন। ওই সূত্র জানিয়েছে, ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ ইউসুফকে বলেছেন, ‘‘মিঁয়া ময়দান মে উতর গয়ে হো তো আব যাও ছক্কে মারো!’’ বাংলায় যার অর্থ— মাঠে যখন নেমেই পড়েছো, ছক্কা হাকাও!’
এখন শ্রীলঙ্কায় একটি ঘরোয়া লিগ খেলছেন ইউসুফ। রবিবার সেখান থেকেই ব্রিগেডের ময়দানে এসেছিলেন তিনি। আবার রাতেই শ্রীলঙ্কা ফিরে যাওয়ার কথা তাঁর। ইউসুফের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেই তিনি প্রচারে নামবেন।
ইউসুফকে যে কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে, সেই বহরমপুর কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর গড় বলেই পরিচিত। অধীর বহরমপুরের পাঁচ বারের সাংসদ। ইউসুফের নাম ঘোষণা হওয়ার পর অধীর আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘ভালই হল। আমি এ বার সেলিব্রিটি হলাম। বাকিটা তো মানুষ বলবেন।’’ বহরমপুরে এ বার নির্মল সাহাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। নির্মল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির সবকা সাথ সবকা বিকাশে ভর করেই গোটা দেশে ভোট হবে। বহরমপুরে জয় আরও সহজ হল।’’