S. Jaishankar

কচ্ছথিবু নিয়ে মাঠে জয়শঙ্কর

কংগ্রেস এবং শিবসেনার পক্ষ থেকে পাল্টা ভাষ্য দিয়ে বলা হয়েছে, কচ্ছথিবু দ্বীপটি শ্রীলঙ্কাকে হস্তান্তর করা হয়নি, এটি আন্তর্জাতিক জল সীমান্তে শ্রীলঙ্কার জলভাগেই অবস্থিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৪০
Share:

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।

রাজনৈতিক শিবিরের মতে, উত্তর ভারত নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মোদী আসন বাড়ানোর কৌশল হিসাবে দাক্ষিণাত্যকে পাখির চোখ করেছেন। তাই গত কাল ভোটের আগে তামিলনাড়ুর মৎস্যজীবীদের অধুনা সঙ্কটে ডিএমকে-কংগ্রেসের জোটকেই দায়ী করে কচ্ছথিবু দ্বীপ শ্রীলঙ্কাকে হাতছাড়া করার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন মোদী। আজ তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পুরনো সংসদীয় রিপোর্ট তুলে তিনি দেখিয়েছেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু দ্বীপটি শ্রীলঙ্কাকে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন এটি ‘নেহাতই একটি ঝামেলা’। এখানেই না থেমে জয়শঙ্কর রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বলেন, ইন্দিরা গান্ধী এই দ্বীপকে মনে করতেন ‘একটি প্রস্তরখণ্ড ছাড়া কিছু নেই, যেখানে একগাছি ঘাসও নেই’।

Advertisement

কংগ্রেস এবং শিবসেনার পক্ষ থেকে পাল্টা ভাষ্য দিয়ে বলা হয়েছে, কচ্ছথিবু দ্বীপটি শ্রীলঙ্কাকে হস্তান্তর করা হয়নি, এটি আন্তর্জাতিক জল সীমান্তে শ্রীলঙ্কার জলভাগেই অবস্থিত। পাশাপাশি ২০১৫ সালে (যখন মোদী ক্ষমতায় চলে এসেছেন) আরটিআই-এ পাওয়া বিদেশ মন্ত্রকের একটি চিঠিতে দেখা যাচ্ছে, এই দ্বীপ শ্রীলঙ্কাকে তুলে দেওয়া হয়নি বলেই সরকার জানাচ্ছে। সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, ১৯৭৪ সালের ভারত-শ্রীলঙ্কা চুক্তি অনুসারে ওই দ্বীপ শ্রীলঙ্কার দিকেই। এ কথাও কংগ্রেসের পবন খেরা, জয়রাম রমেশ এবং প্রিয়ঙ্কা মনে করিয়ে দেন যে তখন বিদেশসচিব ছিলেন জয়শঙ্করই। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, ওই দ্বীপ ভারতের না শ্রীলঙ্কার, তা নিয়ে পুরনো চুক্তিকে খতিয়ে দেখার মাথাব্যথা এই সরকারের নেই। কিন্তু বিষয়টিকে সামনে এনে তামিল আবেগকে উস্কে দেওয়াটাই মোদীর উদ্দেশ্য।

আজ বিজেপির সদর দফতরে সকাল ন’টায় সাংবাদিক বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। তাঁর দাবি, কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রীরা কচ্ছথিবু দ্বীপ সম্পর্কে উদাসীন থেকেছেন। বিপরীত আইনি মতামত থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ওই অঞ্চলে জীবিকা নির্বাহ করার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। তাঁর দাবি, ইন্দিরা গান্ধী কচ্ছথিবুকে ১৯৭৪ সালের সমুদ্রসীমা চুক্তির অংশ হিসাবে শ্রীলঙ্কাকে দিয়ে দেন। পরে এটি ধারাবাহিক ভাবে সংসদে উত্থাপিত হয়। জয়শঙ্কর বলেছেন, তিনি নিজে অন্তত একুশ বার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে উত্তর দিয়েছেন। চুক্তির বিষয়ে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধিকে আগাম অবহিত করা হয়েছিল, যিনি বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন রাজনৈতিক সুবিধার্থে। আজ ডিএমকেকে সেই দায় নিতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement