—প্রতীকী চিত্র।
জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদে চলল গুলি। ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন একে অন্যের উপর। লোকসভা ভোটের মুখে এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মোট চার জন। মারামারি করে আহত হলেন আরও সাত জন।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে কার্যত উত্তপ্ত খড়গ্রাম থানার সাদল গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে খবর, ইনজিল শেখ, সিরাজুল শেখ, সমিরুল শেখ এবং মন্তাজ শেখ নামে চার জন গুলিবিদ্ধ। তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের কর্মী বলে জানা গিয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য খড়গ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযোগের তির যাঁদের দিকে, তাঁরাও ঘটনাচক্রে শাসকদলের সঙ্গে জড়িত বলে খবর। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, জমি সংক্রান্ত বিবাদে এই অশান্তি হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, একটি জমির দখলদারিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে খড়গ্রামের থানার সাদল গ্রামে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। সোমবার বিকেলে নদীর চরে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেখানে লাটু শেখ, আবুল শেখ, সারুল শেখ এবং কবীর শেখ আগ্নেয়াস্ত্র বার করে শূন্যে গুলি চালাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। ‘প্রতিরোধ’ গড়ে তোলার চেষ্টা করে অন্য পক্ষ। তখন ওই পক্ষের দিকে গুলি ছোড়া হয়। তাতে চার জন জখম হন। পাশাপাশি অস্ত্র নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করা হলে দুই পক্ষের আরও কয়েক জন আহত হন। সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলে আক্রান্তরা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের আরও দাবি, গোলাগুলি থেকে নিজেদের বাঁচাতে দু’জন স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেন। সেখানেও তাঁদের উপরের আক্রমণ চালানো হয়। পুলিশ পৌঁছে মসজিদের ভিতর থেকে তাঁদের উদ্ধার করেছে।
গুলিবিদ্ধ সামিরুল শেখ বলেন, ‘‘স্থানীয় নদী বাঁধে অবৈধ ভাবে মাটি কাটা শুরু করে এলাকার দুষ্কৃতীরা। গ্রামের সবাই মিলে প্রতিরোধ করতে গেলে আমাদের ঘিরে ধরে গুলি চালায়। বাঁশ, লোহার রড ও হাঁসুয়া দিয়ে আক্রমণ করা হয় আমাদের। প্রায় ১৮ রাউন্ড গুলি চালায়। মোট চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছি। বেশ কয়েক জন আহত।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমরা তৃণমূল দল করি, ওরাও তৃণমূলের কর্মী এবং সমর্থক।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই ওই ঘটনা। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’