Lok Sabha Election 2024

দেওয়াল ফাঁকা কেন, তৃণমূলের সভাপতি ক্ষুব্ধ

এ দিন বুথে বুথে নিয়মিত বৈঠক করতেও নির্দেশ দেন সৌমেন। সেই সঙ্গে অঞ্চল বা ব্লকে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যদিও কোনও মনোমালিন্য থাকে, তা মিটিয়ে নিতে বার্তা দেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বান্দোয়ান শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৫৭
Share:

বান্দোয়ানে কর্মিসভায় তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেন। —নিজস্ব চিত্র।

প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরে দিন কুড়ি পার হলেও এলাকার দেওয়ালে দেওয়ালে তাঁর নাম এখনও ফুটে ওঠেনি। কর্মিসভায় এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে দেওয়াল লিখন শেষের নির্দেশ দিলেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া। মঙ্গলবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম লোকসভার কেন্দ্রের অন্তর্গত বান্দোয়ান বিধানসভার কর্মীদের নিয়ে বুথভিত্তিক সভা ছিল বান্দোয়ানে।

Advertisement

সেখানে সৌমেন বলেন, “আসার সময়ে দেখলাম, মানবাজার ২, বান্দোয়ানের কিছু এলাকায় দেওয়াল লিখন সে ভাবে শুরু হয়নি। মনেই হচ্ছে না যে আমরা লোকসভা নির্বাচনে নেমেছি। কোনও নির্বাচন লড়ার কিছু পদ্ধতি রয়েছে। সেই পথ আমাদের অবলম্বন করতে হয়। মানুষের কাছে প্রার্থীর পরিচিতির দরকার আছে। প্রতি বুথে পাঁচটি করে বড় বড় দেওয়ালে প্রার্থীর নামে লিখতে হবে।”

বান্দোয়ান ও মানবাজার ২-এর তৃণমূল ব্লক সভাপতি যথাক্রমে জগদীশ মাহাতো ও সুধীর সরেনরা তবে বলেন, “বেশ কিছু গ্রামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। তবে গ্রামে গ্রামে সারুল ও হরিনাম চলায় দেওয়াল লেখা সে ভাবে শুরু করা যায়নি। খুব তাড়াতাড়ি তা করা হবে।“ বিজেপির এসটি মোর্চার রাজ্য সম্পাদক পার্শী মুর্মুর তবে কটাক্ষ, “ব্লকে ব্লকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে শাসক দল এখন দেওয়াল লেখার লোক খুঁজে পাচ্ছে না।”

Advertisement

এ দিন বুথে বুথে নিয়মিত বৈঠক করতেও নির্দেশ দেন সৌমেন। সেই সঙ্গে অঞ্চল বা ব্লকে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যদিও কোনও মনোমালিন্য থাকে, তা মিটিয়ে নিতে বার্তা দেন তিনি। সভাপতির হুঁশিয়ারি, “মনোমালিন্যের জেরে যদি ভোটের ফল খারাপ হয়, দল তা ভাল ভাবে নেবে না। সেটা সবাইকে বুঝতে হবে।” এ দিন বৈঠকে সৌমেন ছাড়াও ছিলেন ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কালিপদ সরেন (খেরওয়াল), জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান হংসেশ্বর মাহাতো, জেলা মহিলা নেত্রী সুমিতা সিং মল্ল, বান্দোয়ানের দলীয় বিধায়ক রাজীবলোচন সরেন।

কর্মিসভা থেকে সাংসদকে এলাকায় পাওয়া যায় না বলে অসন্তোষ জানান জেলা মহিলা তৃণমূল নেত্রী সুমিতা। তিনি বলেন, “লোকসভা ভোটে জিতলে প্রত্যেক ব্লকেই সাংসদ কার্যালয় খুলতে হবে। বিদায়ী সাংসদকে এলাকায় মাঝে মাঝে পাওয়া যেত না। আমাদেরও নানা কাজ থাকে। তার জন্য ঝাড়গ্রাম ছুটে যেতে হয়। আমরা পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম, দুই থেকেই বিছিন্ন।“ তৃণমূল প্রার্থী কালিপদের তবে আশ্বাস, আগে কী হয়েছে জানা নেই। কেন্দ্রের অধীনে থাকা সাত বিধানসভার প্রতি জায়গায় সময় দেবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement