Sandeshkhali Incident

আবার সন্দেশখালিতে পথে মহিলারা, তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি চেয়ে বিক্ষোভ, নেতৃত্বে বিজেপির অর্চনা

শাসকদলের অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারি চেয়ে আবার পথে নামলেন মহিলারা। সন্দেশখালির বেড়মজুরে মহিলাদের এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেল বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদারকে।

Advertisement

সারমিন বেগম

সন্দেশখালি শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৪ ১৩:৩১
Share:

সন্দেশখালিতে মহিলাদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূল নেতা ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে আবার তপ্ত সন্দেশখালি। শাসকদলের অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারি চেয়ে আবার পথে নামলেন মহিলারা। সন্দেশখালির বেড়মজুরে মহিলাদের এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেল বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদারকে।

Advertisement

‘স্টিং-ভিডিয়ো’ ও পরে সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’দের একাংশের ‘ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ’ সংক্রান্ত দাবি নিয়ে শোরগোল পড়েছে রাজ্য জুড়ে। সেই আবহে বুধবার স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক ও দলীয় কর্মী সৈকত দাস-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। সেই দিলীপ ও তাঁর শাগরেদদের গ্রেফতারি চেয়েই শুক্রবার বেড়মজুরের হালদারপাড়ায় বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। দিলীপদের বিরুদ্ধে পুলিশে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তার প্রতিলিপি হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেল তাঁদের। এফআইআরে কী রয়েছে, সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল বিক্ষোভকারী এক মহিলার কাছে। তাঁর অবশ্য জবাব ছিল, ‘‘জানি না। বলতে পারব না।’’ পরে পাশ থেকে আর এক জন বলে ওঠেন, ‘‘দিলীপ মল্লিকেরা অত্যাচার করছে এলাকায়। ওর গ্রেফতারি চাই।’’ বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে প্ল্যাকার্ডও রয়েছে। তাতে এলাকায় জলকষ্ট, খারাপ রাস্তা-সহ স্থানীয় কিছু সমস্যারও উল্লেখ রয়েছে।

গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠার কয়েক দিন আগে সন্দেশখালিতে দিলীপ ও তৃণমূলের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির মহিলা কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন দিলীপ। তার ভিত্তিতে কয়েক জন গ্রেফতারও হন। বিক্ষোভকারী মহিলাদের দাবি, অন্যায় ভাবে স্থানীয়দের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাঁদের মুক্তি দিতে হবে। বিক্ষোভকারী এক মহিলা বলেন, ‘‘ওরা বলছে, জল দেব, বাড়ি দেব। কিচ্ছু দেবে না। এ দিকে আমাদের ভাল ছেলেমেয়েগুলোকে কেস দিচ্ছে। ভিডিয়ো বানিয়ে বানিয়ে ভুলভাল প্রচার করছে!’’

Advertisement

বিক্ষোভকারী মহিলাদের বিরুদ্ধে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে ‘হেনস্থা’র অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভের সময় পাশ দিয়ে বাইকে করে যাচ্ছিলেন এক যুবক। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে থামানো হয়। যুবককে ‘বাইরের লোক’ বলে দাগিয়ে তাঁর উপর চড়াও হন কয়েক জন। ধাক্কা দেওয়া হয় তাঁকে। পরে অবশ্য কয়েক জন যুবককে সেখান থেকে বার করে আনেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এ ভাবে ‘বাইরের লোক’ ঢোকানো হচ্ছে! এক মহিলার কথায়, ‘‘এরা সব তৃণমূলের দালাল। এ ভাবে এলাকায় ঢোকে। আমাদের চিহ্নিত করে যায়। তার পর অত্যাচার করে। অনেকে নিজেদের বিজেপির লোক বলে দাবি করে আমাদের মুখ থেকে কথা বার করার চেষ্টা করে।’’

দিলীপদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ অবশ্য আগেই অস্বীকার করেছে তৃণমূল। সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেছেন, ‘‘বিজেপির নেতা-কর্মীরা ওই বাড়িতে (অভিযোগকারিণীর বাড়িতে) সন্ধ্যা থেকে ছিলেন। পুরোটাই সাজানো ঘটনা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement